এই লেখাটি শুধুমাত্র তাদের জন্য যারা এইচএসসিতে গোল্ডেন এ-প্লাস এবং এডমিশনে টপ র্যাংক করার স্বপ্ন দেখে। যারা “কোনোরকম পাস” করতে চায়, এই লেখাটি তাদের জন্য নয়।
প্রিয় HSC 2027 ব্যাচের শিক্ষার্থী বন্ধুরা,
তোমাকে অভিনন্দন! জীবনের একটি কঠিন ধাপ, এসএসসি পরীক্ষার গণ্ডি পেরিয়ে তুমি এখন কলেজ জীবনের দোরগোড়ায়। স্কুল জীবনের সেই চেনা ইউনিফর্ম, চেনা ক্লাসরুম আর চেনা সিলেবাসের গণ্ডি পেরিয়ে তুমি এখন এমন এক জগতে প্রবেশ করতে যাচ্ছ, যা তোমার ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে দেবে।
একজন বড় ভাই হিসেবে আমি তোমাকে একটা নির্মম সত্য কথা বলি। প্রতি বছর এইচএসসি পরীক্ষার রেজাল্টের দিন দেখবে, এসএসসিতে গোল্ডেন এ-প্লাস পাওয়া হাজার হাজার ছেলেমেয়ে এইচএসসিতে জিপিএ-৫ মিস করেছে। আবার এসএসসিতে সাধারণ রেজাল্ট করা অনেকে এইচএসসিতে বাজিমাৎ করে বুয়েট-মেডিকেলে চান্স পেয়েছে।
কেন এমন হয়? কারণ, এইচএসসির সিলেবাস এসএসসির তুলনায় আকাশ-পাতাল তফাত। স্কুলের দুই বছরে তুমি পদার্থবিজ্ঞানে যা পড়েছ, কলেজে ওঠার পর দেখবে শুধু ভেক্টর অধ্যায়েই তার চেয়ে বেশি কনসেপ্ট আছে। রসায়নের বিক্রিয়া, উচ্চতর গণিতের ক্যালকুলাস আর জীববিজ্ঞানের বিশাল তথ্যভাণ্ডার—সব মিলিয়ে এই সময়টা সায়েন্সের স্টুডেন্টদের জন্য এক বিশাল চ্যালেঞ্জ।
অনেকেই বলে, “এসএসসিতে এ-প্লাস পাওয়া সহজ, কিন্তু এইচএসসিতে পাস করাই কঠিন।” কথাটা শুনে হয়তো তোমার ভয় লাগছে। কিন্তু ভয় পাওয়ার কিছু নেই। এই চ্যালেঞ্জ তোমাকে তৈরি করার জন্য। আগামী দুই বছর তুমি কীভাবে সময় কাটাবে, তার ওপর নির্ভর করবে তুমি ভবিষ্যতে সাদা অ্যাপ্রন পরে স্টেথোস্কোপ গলায় ঝুলাবে, নাকি বুয়েটের ল্যাবে বসে নতুন কিছু আবিষ্কার করবে, নাকি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লাল বাসে চড়বে।
কিন্তু সমস্যা হলো, সঠিক গাইডলাইনের অভাবে হাজার হাজার মেধাবী মুখ কলেজ লাইফের শুরুতেই খেই হারিয়ে ফেলে। কেউ কঠিন সিলেবাস দেখে হতাশ হয়ে পড়ে, কেউ বা ঢাকার জ্যামে আটকে কোচিংয়ে দৌড়াতে দৌড়াতে ক্লান্ত হয়ে যায়।
ঠিক এই জায়গাতেই তোমার প্রয়োজন একটি স্মার্ট সিদ্ধান্তের। আর সেই সিদ্ধান্তটি হতে পারে টেন মিনিট স্কুলের “HSC 27 Online Batch (Science)”। আমি ব্যক্তিগতভাবে এই কোর্সটির কারিকুলাম, ফিচার এবং স্টুডেন্ট ফিডব্যাক এনালাইসিস করে দেখেছি। কেন আমি মনে করি এটি বর্তমান সময়ের সেরা ইনভেস্টমেন্ট, তা আজ তোমাদের সামনে তুলে ধরব।
এইচএসসি লাইফ – কেন এটি স্কুল জীবনের চেয়ে আলাদা?
আমরা শুরুতেই একটা কঠিন সত্যের মুখোমুখি হই। কেন টপ স্টুডেন্টরা এইচএসসিতে খারাপ করে? এর কারণ মেধার অভাব নয়, এর কারণ স্ট্র্যাটেজির অভাব এবং “কালচারাল শক” বা পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নিতে না পারা। এসএসসির রেজাল্ট নিয়ে আত্মতুষ্টিতে ভোগা এবং এইচএসসির গভীরতা বুঝতে না পারাই হলো প্রথম ভুল।
১.১ সিলেবাসের বিশালতা: সাগরের মাঝখানে একা
এসএসসিতে তুমি যখন বইয়ের পাতা উল্টাতে, তখন মনে হতো সিলেবাসটা হাতের মুঠোয়। ফিজিক্স বইটা ছিল মাত্র ২০০-৩০০ পেজের। কিন্তু এইচএসসিতে এসে তুমি দেখবে ফার্স্ট পেপার আর সেকেন্ড পেপার মিলিয়ে সেই ভলিউম বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১০০০-১২০০ পেজ। তাও সেটা মাত্র একটি বিষয়ের জন্য! কেমিস্ট্রি, ম্যাথ, বায়োলজি—প্রতিটি ক্ষেত্রেই এই বিশালতার ধাক্কা তোমাকে খেতে হবে।
সবচেয়ে ভয়ের ব্যাপার হলো সময়। এসএসসিতে তুমি প্রায় ২-২.৫ বছর সময় পেয়েছিলে ওই ছোট বইগুলো শেষ করার জন্য। আর এইচএসসিতে সিলেবাস ৫ গুণ বড়, কিন্তু সময় মাত্র ১৮ মাস (ছুটি এবং পরীক্ষা বাদ দিলে পড়ার সময় আরও কম)।
একটি বাস্তব তুলনা:
- এসএসসি ফিজিক্স: ‘গতি’ অধ্যায়ে ৩-৪টি সূত্র ছিল। v = u + at, s = ut + ½at²… ব্যাস, মান বসালেই উত্তর চলে আসত।
- এইচএসসি ফিজিক্স: ‘নিউটনীয় বলবিদ্যা’ বা ‘ভেক্টর’ অধ্যায়ে তুমি এমন সব টপিক পাবে—রকেটের গতি, রাস্তার ব্যাংকিং, কৌণিক ভরবেগ, জড়তার ভ্রামক, স্থিতিস্থাপক ও অস্থিতিস্থাপক সংঘর্ষ, টর্ক—যা বুঝতে গভীর মনোযোগ প্রয়োজন। এখানে একটি অধ্যায়ের গভীরতা এসএসসির পুরো বইয়ের সমান হতে পারে।
এই বিশাল সিলেবাস শেষ করাটা একটা আর্ট বা শিল্প। যারা শুরু থেকে এই আর্ট রপ্ত করতে পারে না, তারা টেস্ট পরীক্ষার আগে গিয়ে চোখে সর্ষে ফুল দেখে। তখন মনে হয়, “ইশ! যদি কলেজ শুরুর প্রথম দিন থেকে সিরিয়াস হতাম!”
১.২ কনসেপ্টের গভীরতা: মুখস্থ বিদ্যার দিন শেষ
স্কুলে অনেক কিছু মুখস্থ করে পার পাওয়া যেত। সৃজনশীল প্রশ্নের ‘গ’ এবং ‘ঘ’ নম্বর অনেক সময় মুখস্থ বিদ্যা বা গাইড বইয়ের কমন প্রশ্ন দিয়ে চালিয়ে দেওয়া যেত। সংজ্ঞা আর পার্থক্য মুখস্থ করেই ভালো নম্বর তোলা সম্ভব ছিল। কিন্তু কলেজে এই স্ট্র্যাটেজি ১০০% অকার্যকর।
এখানে ফিজিক্সের ম্যাথ বা অর্গানিক কেমিস্ট্রির বিক্রিয়া মুখস্থ করে তুমি এক পা-ও এগোতে পারবে না। কারণ, প্রশ্নগুলো হয় “কনসেপ্ট লিংকিং” বা একাধিক অধ্যায়ের সমন্বয়ে।
- ম্যাথ ও ফিজিক্সের সম্পর্ক: তুমি যদি ক্যালকুলাস (অন্তরীকরণ ও যোগজীকরণ) না বোঝো, তবে ফিজিক্সের বেগ, ত্বরণ বা কাজ কিছুই বুঝবে না। এসএসসিতে ঢাল বা স্লোপ নিয়ে খুব একটা ভাবতে হতো না, কিন্তু এইচএসসিতে গ্রাফ এবং স্লোপ কনসেপ্ট না থাকলে তুমি অন্ধের মতো হাতড়াবে।
- কেমিস্ট্রির গোলকধাঁধা: জৈব যৌগের (Organic Chemistry) হাজার হাজার বিক্রিয়া মনে রাখা মানুষের পক্ষে সম্ভব না, যদি না তুমি মেকানিজম বোঝো। ইলেকট্রন কোন দিক থেকে অ্যাটাক করছে, কেন করছে, কার্বোক্যাটায়ন কী—এগুলো না বুঝলে তুমি বিক্রিয়া মেলাতে পারবে না। এসএসসিতে যোজনী মুখস্থ করলেই চলত, এখানে তোমাকে হাইব্রিডাইজেশন, মলিকুলার অরবিটাল থিওরি বুঝতে হবে।
- এডমিশন টেস্টের চ্যালেঞ্জ: বুয়েট বা মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় বইয়ের খুঁটিনাটি বেসিক থেকেই প্রশ্ন আসে, যা মুখস্থ করে উত্তর করা অসম্ভব। সেখানে প্রশ্ন এমনভাবে করা হয় যা তোমার চিন্তাশক্তি যাচাই করবে, স্মৃতিশক্তি নয়।
১.৩ সময়ের সঠিক ব্যবহার ও “টাইম ট্র্যাপ”
কলেজ লাইফকে বলা হয় হনিমুন পিরিয়ড। নতুন কলেজ, নতুন বন্ধু, ইউনিফর্মের কড়াকড়ি নেই (অনেক ক্ষেত্রে), স্মার্টফোনের স্বাধীনতা—সব মিলিয়ে প্রথম ৩-৪ মাস স্বপ্নের মতো কাটে। আর ঠিক এই জায়গাতেই শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বড় ভুলটা করে।
এই হনিমুন পিরিয়ড শেষ হয় প্রথম সেমিস্টার পরীক্ষার রেজাল্টের পর, কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়। কলেজের রুটিনটা একবার ভাবো:
- সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ক্লাস।
- এরপর প্র্যাকটিক্যাল ল্যাব, ল্যাব রিপোর্ট লেখা।
- অ্যাসাইনমেন্ট, সিটি পরীক্ষা, ক্লাবের দায়িত্ব।
- বন্ধুদের আড্ডা।
এর মাঝে নিজের পড়ার সময় বের করাটাই কঠিন। তার ওপর যদি তুমি অফলাইন কোচিং বা প্রাইভেটের ওপর নির্ভর করো, তবে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়। ঢাকার মতো শহরে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যেতে ১-১.৫ ঘণ্টা লাগে। অর্থাৎ, একটি ১ ঘণ্টার প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার জন্য তোমার যাতায়াতে নষ্ট হচ্ছে ২-৩ ঘণ্টা।
হিসাবটা সহজ: প্রতিদিন যদি যাতায়াতে ৩ ঘণ্টা নষ্ট হয়, তবে মাসে ৯০ ঘণ্টা বা প্রায় ৪ দিন তুমি শুধু রাস্তাতেই কাটাচ্ছ! বছরে প্রায় ৪৮ দিন বা দেড় মাস তুমি জ্যামে বসে থাকছ। এই সময়টা পড়ার এনার্জি শুষে নেয়। কোচিং থেকে ফিরে ক্লান্ত শরীরে পড়ার টেবিলে বসা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। ফলে সৃষ্টি হয় বিশাল “ব্যাকলগ” বা পড়া জমে যাওয়ার পাহাড়।
এই “টাইম ট্র্যাপ” থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় হলো স্মার্ট লার্নিং বা অনলাইন এডুকেশন। যেখানে তুমি জ্যামে বসে থাকার সময়টা কাজে লাগাতে পারবে নিজের স্কিল ডেভেলপমেন্ট বা বিশ্রামে, আর পড়াশোনা হবে তোমার সুবিধামতো সময়ে।
টেন মিনিট স্কুল HSC 27 অনলাইন ব্যাচ – একটি পূর্ণাঙ্গ ইকোসিস্টেম
আমি গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশের এডটেক ইন্ডাস্ট্রি এবং বিভিন্ন অনলাইন কোর্স গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। সবখানেই একটা কমন প্যাটার্ন দেখা যায়—কিছু রেকর্ডেড ভিডিও, কিছু পিডিএফ নোট, আর মাঝেমধ্যে একটা লাইভ ক্লাস। কিন্তু টেন মিনিট স্কুলের HSC 27 Online Batch-কে আমি কোনোভাবেই সাধারণ “কোর্স” বলতে রাজি নই। আমি একে বলছি একটি “কমপ্লিট একাডেমিক ইকোসিস্টেম”।
কেন “ইকোসিস্টেম” বলছি? কারণ, একটি ইকোসিস্টেমে বেঁচে থাকার জন্য সব উপাদান একে অপরের ওপর নির্ভরশীল এবং স্বয়ংসম্পূর্ণ থাকে। এখানেও ঠিক তাই। তোমার এইচএসসি লাইফে যা যা দরকার—ক্লাস, নোট, গাইড বই, প্রাইভেট টিউটর, এক্সাম হল, এবং মেন্টরশিপ—সবকিছু এই এক ছাতার নিচে নিয়ে আসা হয়েছে।
তোমাকে ফিজিক্সের জন্য এক স্যারের কাছে, আর ম্যাথের জন্য আরেক কোচিংয়ে দৌড়াতে হবে না। এই “One Stop Solution” কনসেপ্টটাই একে অন্যদের চেয়ে আলাদা করেছে।
কোর্সটি আসলে কাদের জন্য ডিজাইন করা?
এই কোর্সটি সবার জন্য নয়। যারা শুধু কোনোমতে পাস করে সার্টিফিকেট পেতে চায়, তাদের জন্য ইউটিউবের ফ্রি ভিডিওই যথেষ্ট। এই প্রিমিয়াম ইকোসিস্টেমটি তাদের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, যারা নিজেদের নিয়ে উচ্চাকাঙ্ক্ষী:
১. যারা “বোর্ড সেরা” হওয়ার স্বপ্ন দেখে: শুধু জিপিএ-৫ নয়, যারা বোর্ডে প্লেস করতে চায় বা গোল্ডেন এ-প্লাস নিশ্চিত করতে চায়, তাদের জন্য এখানে রয়েছে খুঁটিনাটি বেসিক এবং প্রচুর প্র্যাকটিস।
২. ফিউচার বুয়েটিয়ান ও মেডিকেলের স্বপ্নসারথী: কলেজ লাইফের প্রথম দিন থেকেই যারা এডমিশনের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে চায়। এখানকার ক্লাসগুলো এমনভাবে নেওয়া হয়, যাতে তোমার একাডেমিক পড়ার সাথে সাথে এডমিশনের ফাউন্ডেশনও তৈরি হয়ে যায়।
৩. মফস্বলের মেধাবী শিক্ষার্থী: যারা গ্রামের বাড়িতে বা মফস্বলে থাকে, কিন্তু ঢাকার সেরা কলেজ (যেমন নটর ডেম বা ভিকারুননিসা)-এর শিক্ষার্থীদের মতো সমান সুযোগ-সুবিধা ও গাইডলাইন পেতে চায়। এই কোর্সটি তাদের জন্য ঢাকার সেরা শিক্ষকদের ভার্চুয়ালি তাদের পড়ার টেবিলে নিয়ে আসে।
৪. স্মার্ট ও বাজেট সচেতন: যারা অফলাইন কোচিংয়ের যাতায়াতে প্রতিদিন ২-৩ ঘণ্টা নষ্ট করতে চায় না এবং বছরে ১-২ লক্ষ টাকা খরচ না করে, নামমাত্র মূল্যে সর্বোচ্চ কোয়ালিটি নিশ্চিত করতে চায়।
এই ইকোসিস্টেমের ৭টি স্তম্ভ
এই কোর্সের প্রতিটি ফিচার একেকটি স্তম্ভের মতো কাজ করে তোমার প্রস্তুতিকে মজবুত করতে। চলো গভীরে গিয়ে দেখি কেন এগুলো গেম চেঞ্জার।
১. সাইকেল ভিত্তিক পড়াশোনা
এইচএসসির বিশাল সিলেবাস দেখে শিক্ষার্থীরা শুরুতেই প্যানিক করে। টেন মিনিট স্কুল এই বিশাল পাহাড়কে ভেঙে ৪টি ছোট সাইকেলে ভাগ করেছে।
- মনস্তাত্ত্বিক সুবিধা: তোমাকে পুরো বইয়ের চিন্তা করতে হবে না। তোমার ফোকাস থাকবে শুধু আগামী ৪ মাসের টার্গেটের ওপর। ছোট ছোট টার্গেট পূরণ করলে তোমার কনফিডেন্স বুস্ট হবে।
- ফ্লেক্সিবিলিটি: তুমি চাইলে একটি সাইকেল কিনে দেখতে পারো। ভালো লাগলে পরেরগুলো কিনবে। যদিও আমি পুরো বান্ডেল নেওয়ার পরামর্শ দেই, কিন্তু এই ফ্লেক্সিবিলিটিটা দারুণ।
২. লাইভ ক্লাস
এগুলো কোনো বোরিং একঘেয়ে লেকচার নয়। স্মার্টবোর্ডে যখন টিচাররা এনিমেশন দিয়ে “প্রাসের গতি” বা “ডিএনএ রেপ্লিকেশন” বোঝান, তখন পড়াটা চোখের সামনে ভাসতে থাকে।
- ইন্টারঅ্যাকশন: ক্লাসের মধ্যে টিচার পোল কুইজ দেন। তুমি অপশনে ক্লিক করবে, আর স্ক্রিনে দেখাবে কত পারসেন্ট স্টুডেন্ট সঠিক উত্তর দিয়েছে। এটি তোমাকে ক্লাসে মনোযোগ ধরে রাখতে বাধ্য করে।
- ভাইব: অফলাইন ক্লাসের মতোই টিচাররা নাম ধরে ডাকেন, মজা করেন, আবার পড়া না পারলে বকাও দেন। তুমি অনুভব করবে তুমি একা নও, হাজার হাজার বন্ধু তোমার সাথে ক্লাস করছে।
৩. মাস্টার বুক
এটি আমার দেখা এই কোর্সের সবচেয়ে বড় এবং এক্সক্লুসিভ ফিচার। সাধারণত অনলাইন কোর্সে শুধু পিডিএফ দেওয়া হয়, যা মোবাইলে পড়ে থাকে, কেউ খোলে না। কিন্তু এখানে তুমি পাচ্ছ হার্ডকপি বই।
- কেন এটি সেরা: এই বইগুলো ৫-৬ জন জনপ্রিয় রাইটারের বই এনালাইসিস করে তৈরি। তোমার টেবিলে তপন স্যার, ইসহাক স্যার, আর গাজি আজমল স্যারের বই ছড়ানো-ছিটানো থাকবে না। এক মাস্টার বুকেই সব নির্যাস পাবে।
- স্পর্শের অনুভূতি: নতুন বইয়ের গন্ধ এবং হাতে নিয়ে দাগিয়ে পড়ার যে আনন্দ, তা কোনো পিডিএফ দিতে পারে না। এটি তোমাকে পড়ার টেবিলে বসতে উৎসাহ দেবে।
৪. আর্কাইভ ক্লাস
এটি একটি দুর্দান্ত ফিচার যা “ব্যাকলগ” বা পড়া জমে যাওয়ার ভয় দূর করে।
- স্বাধীনতা: ধরো তোমার কলেজে আগামীকাল “চল তড়িৎ” পরীক্ষা, কিন্তু লাইভ ক্লাসে এখনো সেটা শুরু হয়নি। তুমি চাইলেই আর্কাইভ সেকশনে গিয়ে সিনিয়র ব্যাচের (HSC 26) ক্লাসগুলো দেখে প্রস্তুতি নিয়ে নিতে পারবে।
- রিভিশন: পরীক্ষার আগের রাতে কোনো টপিক ভুলে গেলে, সাথে সাথে আর্কাইভে গিয়ে ওই স্পেসিফিক অংশের রেকর্ডিং দেখে নেওয়া যায়। এটি সত্যিই একটি টাইম মেশিনের মতো কাজ করে।
৫. Doubt Solve AI
একজন স্টুডেন্ট যখন রাতে পড়তে বসে আটকে যায়, তখন তার অসহায় লাগে। কারণ তখন ফোন করার মতো কোনো টিচার পাওয়া যায় না।
- বিপ্লবী সমাধান: টেন মিনিট স্কুলের অ্যাপে তুমি আটকে যাওয়া ম্যাথের ছবি তুলে দিলেই AI মুহূর্তের মধ্যে সেটার সমাধান এবং ব্যাখ্যা দিয়ে দেবে। এটি তোমার পড়ার গতি (Momentum) নষ্ট হতে দেয় না। রাত ৩টায় হোক বা ভোর ৫টায়—তোমার ডাউট সলভ করার জন্য কেউ না কেউ (AI) জেগে আছে।
৬. উইকলি লাইভ Q&A
AI যতই স্মার্ট হোক, মানুষের সান্ত্বনা বা গাইডলাইনের বিকল্প নেই। প্রতি সপ্তাহে টিচাররা জুম বা গুগল মিটে আসেন শুধু তোমাদের কথা শোনার জন্য।
- সরাসরি কথা: এখানে তুমি ক্যামেরা ও মাইক অন করে বলতে পারো, “ভাইয়া, আমি ফিজিক্সের এই কনসেপ্টটা কিছুতেই বুঝতে পারছি না” অথবা “ভাইয়া, পড়তে বসলে মনোযোগ থাকে না, কী করব?” এই মেন্টরশিপটা অমূল্য।
৭. পরীক্ষা ও লিডারবোর্ড
পড়াশোনাকে এখানে “গেমফিকেশন” করা হয়েছে। ব্যাপারটা কিন্তু মজার।
- ডেইলি এক্সাম: ক্লাসের পর ১০ মিনিটের কুইজ।
- লিডারবোর্ড: পরীক্ষায় ভালো করলে লিডারবোর্ডে তোমার নাম ও ছবি আসবে। হাজার হাজার স্টুডেন্টের মধ্যে নিজের নাম ১ নম্বরে দেখার যে নেশা, তা তোমাকে দিয়ে জোর করে পড়িয়ে নেবে। এটি একটি সুস্থ প্রতিযোগিতা তৈরি করে যা অফলাইনে পাওয়া কঠিন।
টেন মিনিট স্কুলের এই ইকোসিস্টেমটি এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যে, তুমি যদি শুধু তাদের ইনস্ট্রাকশন ফলো করো, রুটিন মেনে ক্লাস করো এবং এক্সাম দাও—তোমার A+ আটকানোর সাধ্য কারোর নেই। এটি শুধু একটি কোর্স নয়, এটি তোমার স্বপ্নের বাতিঘর।
সাইকেল সিস্টেম – ১৬ মাসে সিলেবাস জয়ের ব্লু-প্রিন্ট
এইচএসসির বিশাল সিলেবাস দেখে যেকোনো সাধারণ শিক্ষার্থীর হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। পদার্থবিজ্ঞানের একেকটি পত্র এসএসসির পুরো বইয়ের সমান, কেমিস্ট্রির হাজারো বিক্রিয়া, আর ম্যাথের ক্যালকুলাসের মহাসাগর—সব মিলিয়ে মনে হয় যেন এভারেস্ট জয় করতে হবে।
কিন্তু মনে রাখবে, “How do you eat an elephant? One bite at a time.” (একটি হাতিকে কীভাবে খাবে? এক কামড় করে)।
টেন মিনিট স্কুল ঠিক এই দর্শনটিই তাদের কোর্সে প্রয়োগ করেছে। তারা পুরো এইচএসসির বিশাল সিলেবাসকে ভেঙে ৪টি ছোট ছোট, অর্জনযোগ্য লক্ষে ভাগ করেছে। একে বলা হয় “Divide and Conquer” বা “ভাগ করো এবং শাসন করো” মেথড। এই পদ্ধতিতে তুমি পুরো পাহাড়ের দিকে না তাকিয়ে শুধু তোমার সামনে থাকা ছোট টিলাটি পার করবে, এবং অজান্তেই দেখবে তুমি পাহাড়ের চূড়ায় পৌঁছে গেছ।
চলো এই ১৬ মাসের ব্লু-প্রিন্টটি বিস্তারিত ব্যবচ্ছেদ করি:
Cycle 1: ফাউন্ডেশন ও কলেজ শুরুর প্রস্তুতি
সময়কাল: কলেজ শুরুর আগে থেকে শুরু করে প্রথম ৩-৪ মাস।
ক্লাস শুরুর প্রথম ৩ মাস অধিকাংশ স্টুডেন্ট নতুন ক্যাম্পাস, নতুন বন্ধু আর আড্ডায় মেতে থাকে। তারা ভাবে, “পড়া তো মাত্র শুরু, পরে পড়ে নেব।” এটাই তাদের জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল। সাইকেল ১ ডিজাইন করা হয়েছে তোমাকে এই ভুল থেকে বাঁচাতে।
এই সাইকেলে তারা শুরু করে প্রতিটি বিষয়ের ফাউন্ডেশনাল টপিকগুলো দিয়ে। ফিজিক্সে ফোকাস করা হয় ভেক্টর ও গতিবিদ্যার ওপর, যা না বুঝলে পুরো ফিজিক্সই অসম্পূর্ণ থেকে যায়। কেমিস্ট্রিতে শুরু করা হয় গুণগত রসায়ন ও মৌলের পর্যায়বৃত্ত ধর্ম দিয়ে, যা কেমিস্ট্রির ভিত্তি গড়ে দেয়। ম্যাথে তারা বেছে নিয়েছে সবচেয়ে স্কোরিং চ্যাপ্টার ম্যাট্রিক্স ও নির্ণায়ক এবং সরলরেখা। আর বায়োলজিতে জীবনের ভিত্তি কোষ ও এর গঠন দিয়ে এই যাত্রা শুরু হয়।
এর সবচেয়ে বড় লাভ হলো সাইকোলজিক্যাল অ্যাডভান্টেজ। কলেজে প্রথম দিন ক্লাসে গিয়ে যখন স্যার ভেক্টর বা ম্যাট্রিক্স সম্পর্কে প্রশ্ন করবেন, তখন দেখবে ক্লাসের ৯০% স্টুডেন্ট হা করে তাকিয়ে আছে। কিন্তু তুমি? তুমি উঠে দাঁড়িয়ে সঠিক উত্তর দেবে। কারণ তুমি এটা সাইকেল ১-এ আগেই শেষ করে এসেছ।
এই একটি ঘটনা তোমাকে শিক্ষকের নজরে “ব্রাইট স্টুডেন্ট” বানিয়ে দেবে। আর নিজের প্রতি যে কনফিডেন্স তৈরি হবে, তা তোমাকে পুরো দুই বছর অন্যদের চেয়ে এগিয়ে রাখবে। “ফার্স্ট ইম্প্রেশন ইজ দ্য লাস্ট ইম্প্রেশন”—এটা কলেজ লাইফে খুব সত্য।

Cycle 2: ফার্স্ট ইয়ার ফাইনাল বা হাফ ইয়ারলি টার্গেট
সময়কাল: সাইকেল ১ এর পর থেকে কলেজের ফার্স্ট ইয়ার ফাইনাল পর্যন্ত।
হনিমুন পিরিয়ড শেষ হওয়ার পর হঠাৎ করেই শুরু হয় অ্যাসাইনমেন্ট, প্র্যাকটিক্যাল ল্যাব এবং সিটি পরীক্ষার চাপ। এই সময়ে অধিকাংশ স্টুডেন্ট খেই হারিয়ে ফেলে। সাইকেল ২ এমনভাবে সাজানো হয়েছে যেন তুমি কলেজের এই চাপের মধ্যেও সিলেবাস এগিয়ে নিতে পারো।
এই ধাপে ফোকাস করা হয় ফার্স্ট পেপারের তুলনামূলক বড় এবং কনসেপচুয়াল চ্যাপ্টারগুলোর ওপর। ফিজিক্সের কাজ ক্ষমতা শক্তি, মহাকর্ষ, এবং পদার্থের গাঠনিক ধর্ম কভার করা হয় এখানে। কেমিস্ট্রির সবচেয়ে বড় অধ্যায়গুলোর একটি, রাসায়নিক পরিবর্তন, যেখানে pH বা বাফার দ্রবণের মতো গুরুত্বপূর্ণ টপিক আছে, তাও এই সাইকেলের অংশ। স্ট্র্যাটেজিক কারণে তারা ফার্স্ট পেপারের পাশাপাশি সেকেন্ড পেপারের কিছু সহজ অধ্যায়ও (যেমন তাপগতিবিদ্যা) এখানে ইন্ট্রোডিউস করে।
এটি কেন জরুরি? কারণ অধিকাংশ কলেজে ফার্স্ট ইয়ার ফাইনালে পুরো ফার্স্ট পেপার এবং সেকেন্ড পেপারের কিছু অংশ থাকে। সাইকেল ২ শেষ করার মাধ্যমে তুমি কলেজের পরীক্ষায় টপ করার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত থাকবে। যখন বন্ধুরা সিলেবাস শেষ করতে হিমশিম খাবে, তুমি তখন রিভিশন দেবে।
Cycle 3: সেকেন্ড ইয়ারের কঠিন টপিক ও এডমিশন বেস
সময়কাল: ফার্স্ট ইয়ার ফাইনালের পর থেকে। এটি এইচএসসি লাইফের সবচেয়ে ক্রুশিয়াল সময়।
এটাকে বলা হয় “মেক অর ব্রেক” ফেজ। সায়েন্সের সবচেয়ে কঠিন এবং ভয়ের টপিকগুলো এই সাইকেলে পড়ানো হয়। যারা এই সাইকেলটি সফলভাবে শেষ করে, তাদের বুয়েট বা মেডিকেলের স্বপ্ন ৫০% পূরণ হয়ে যায়।
এখানে সায়েন্সের ‘হেভি ওয়েট’ চ্যাপ্টারগুলোতে হাত দেওয়া হয়। ফিজিক্সে পড়ানো হয় স্থির তড়িৎ, চল তড়িৎ, এবং তাড়িতচৌম্বক আবেশ—যা থেকে বোর্ড এবং এডমিশনে প্রচুর ম্যাথ আসে। কেমিস্ট্রিতে ধরা হয় এইচএসসির শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে বড় ভয়ের জায়গা—জৈব যৌগ বা অর্গানিক কেমিস্ট্রি। হাজার হাজার বিক্রিয়া হলেও এই কোর্সের মেন্টররা মেকানিজম দিয়ে এমনভাবে পড়াবেন যে তোমার কাছে এটি পানির মতো সহজ মনে হবে। ম্যাথে থাকে ক্যালকুলাস-২ (ইন্টিগ্রেশন) এবং কনিকস, আর বায়োলজিতে থাকে জেনেটিক্স ও বিবর্তন।
এই টপিকগুলো বোঝা মানে শুধু এইচএসসি পাস করা নয়, বরং এডমিশন যুদ্ধের জন্য নিজেকে শানিয়ে নেওয়া। টেন মিনিট স্কুল এই অংশে সবচেয়ে বেশি সময় দেয় এবং লাইভ ক্লাসের সংখ্যা বাড়িয়ে দেয়, কারণ এখান থেকেই সবচেয়ে বেশি সৃজনশীল প্রশ্ন হয়।
Cycle 4: প্রি-টেস্ট ও টেস্ট পরীক্ষার চূড়ান্ত প্রস্তুতি
সময়কাল: টেস্ট পরীক্ষার আগের ৩-৪ মাস।
এটি হলো ফিনিশিং টাচ। যখন সারা দেশের স্টুডেন্টরা সিলেবাস শেষ করতে দৌড়াদৌড়ি করছে, তখন তুমি থাকবে রিলাক্স মুডে।
এই শেষ ধাপে তারা বাকি থাকা ছোটখাটো অধ্যায়গুলো শেষ করে এবং পুরো বইয়ের ওপর ম্যারাথন রিভিশন ক্লাস শুরু করে। এর পাশাপাশি চলে টেস্ট পেপার সলভ প্রোগ্রাম, যেখানে বিগত বছরের বোর্ড প্রশ্ন এবং সেরা কলেজগুলোর টেস্ট পরীক্ষার প্রশ্ন সলভ করা হয়।
তোমার চূড়ান্ত টার্গেট হলো ১৬ মাসের মধ্যে, অর্থাৎ টেস্ট পরীক্ষার অন্তত ২-৩ মাস আগেই সিলেবাস শেষ করা। এর ফলে তুমি টেস্ট পরীক্ষায় নিশ্চিন্তে অংশ নিতে পারবে এবং এইচএসসি ফাইনালের আগে রিভিশন দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত সময় পাবে। এই বাড়তি সময়টাই তোমার জিপিএ-৫ কে গোল্ডেন এ-প্লাসে রূপান্তর করতে সাহায্য করবে। এমনকি তুমি চাইলে এই সময়ে এডমিশনের পড়াও হালকা শুরু করে দিতে পারো।
শেষকথা হলো এই সাইকেল সিস্টেম কোনো জাদুর কাঠি নয়, এটি একটি বিজ্ঞানসম্মত পরিকল্পনা। তুমি যদি অন্ধের মতো শুধু এই ফ্লো-চার্টটি ফলো করো, তবে ১৬ মাস পর নিজেকে আবিষ্কার করবে বিজয়ের মঞ্চে। তোমাকে ভাবতে হবে না “কাল কী পড়ব”, শুধু অ্যাপ ওপেন করবে এবং রুটিন অনুযায়ী ক্লাস করবে। বাকি দায়িত্ব এই সিস্টেমের।
অধ্যায় ৪: বিষয়ভিত্তিক মাইক্রো-এনালাইসিস – গভীরে চলো
বিজ্ঞান বিভাগের প্রতিটি বিষয়ের নিজস্ব চ্যালেঞ্জ আছে। টেন মিনিট স্কুল কীভাবে প্রতিটি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে, তা নিচে আলোচনা করা হলো।
৪.১ পদার্থবিজ্ঞান (Physics) – ভিজুয়ালাইজেশনের খেলা
ফিজিক্সের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো “কল্পনা করতে না পারা”।
- সমস্যা: বইয়ে লেখা আছে “প্রাসের গতি”, কিন্তু তুমি বুঝতে পারছ না বলটি কীভাবে বাতাসে ভাসছে।
- সমাধান: ১০ মিনিট স্কুলের ক্লাসে স্মার্টবোর্ডে এনিমেশন ব্যবহার করা হয়। নদী-নৌকার অঙ্ক করার সময় তুমি স্ক্রিনে নৌকা চলতে দেখবে। রোলার কোস্টারের ভিডিও দিয়ে ‘কাজ, শক্তি ও ক্ষমতা’ বোঝানো হবে।
- ম্যাথ: ফিজিক্সে হাজার হাজার ম্যাথ। তারা টাইপ ভিত্তিক ম্যাথ করায়, যাতে একটি নিয়ম শিখলে তুমি সেই টাইপের ১০০টি ম্যাথ করতে পারো।
৪.২ রসায়ন (Chemistry) – বিক্রিয়া আর ভয় নেই
রসায়ন অনেকের কাছেই দুঃস্বপ্ন, বিশেষ করে অর্গানিক কেমিস্ট্রি।
- সমস্যা: বিক্রিয়া মুখস্থ করা। হাজার হাজার বিক্রিয়া মনে রাখা মানুষের পক্ষে সম্ভব না।
- সমাধান: ভাইয়ারা বিক্রিয়ার মেকানিজম (Mechanism) বা কৌশল শেখান। ইলেকট্রন কীভাবে মুভ করছে, কেন আক্রমণ করছে—এগুলো জানলে তুমি নিজেই বিক্রিয়া তৈরি করতে পারবে।
- শর্টকাট: মৌলের পর্যায়বৃত্ত ধর্ম মনে রাখার জন্য দারুণ সব ‘নেমোনিক’ (ছন্দ) শেখানো হবে, যা তুমি পরীক্ষার হলে গুনগুন করে গাইতে গাইতে উত্তর লিখবে।
৪.৩ গণিত (Higher Math) – ক্যালকুলাস এখন জলভাত
সায়েন্সের স্টুডেন্টদের প্রধান ভীতি হলো ক্যালকুলাস।
- সমস্যা: $\frac{dy}{dx}$ বা $\int$ চিহ্ন দেখলেই ভয় লাগে।
- সমাধান: ভাইয়ারা রিয়েল লাইফ উদাহরণ দিয়ে বোঝাবেন কেন ক্যালকুলাস দরকার। একটি বক্ররেখার ঢাল বা একটি আঁকাবাঁকা ক্ষেত্রের ক্ষেত্রফল নির্ণয়ের কনসেপ্ট একদম পরিষ্কার হয়ে যাবে।
- ক্যালকুলেটর হ্যাকস: এমসিকিউ পরীক্ষায় সময় মাত্র ২৫ মিনিট। সেখানে বড় বড় অঙ্ক করার সময় নেই। এখানে শেখানো হবে কীভাবে ক্যালকুলেটর ব্যবহার করে ৫ সেকেন্ডে ম্যাট্রিক্স বা ইন্টিগ্রেশন সলভ করা যায়।
৪.৪ জীববিজ্ঞান (Biology) – তথ্যের মহাসাগর পাড়ি দেওয়া
বায়োলজি মানেই কি মুখস্থ? একদম না।
- সমস্যা: হাজার হাজার বৈজ্ঞানিক নাম এবং প্রক্রিয়া মনে রাখা।
- সমাধান: মানবদেহের রক্ত সঞ্চালন বা ডিএনএ রেপ্লিকেশন—সবকিছু থ্রিডি মডেলে (3D Model) দেখানো হবে। হৃদপিণ্ডের ভালভগুলো কীভাবে খুলছে ও বন্ধ হচ্ছে, তা চোখের সামনে দেখলে আর ভুলবে না।
- মেডিকেল ফোকাস: যারা মেডিকেলে পড়তে চাও, তাদের জন্য ক্লাসেই বলে দেওয়া হয়—গাজি আজমল বা আবুল হাসান স্যারের বইয়ের কোন লাইনগুলো দাগিয়ে পড়তে হবে।
অধ্যায় ৫: এক্সক্লুসিভ মাস্টার বুক (Master Book) – তোমার গোপন হাতিয়ার
কলেজে উঠলে একটা কমন কনফিউশন থাকে—”ভাইয়া, কোন রাইটারের বই কিনব?” বাজারে শাহজাহান তপন স্যার, ইসহাক স্যার, অক্ষরপত্র, হাজারী স্যার, কেতাব স্যার—হাজারো বই।
- কলেজে স্যাররা হয়তো বলবেন তরিকুল স্যারের বই কিনতে।
- প্রাইভেট টিচার বলবেন ইসহাক স্যারের বই ভালো।
- আবার এডমিশনের ভাইয়ারা বলবেন, “উহু, সব বই না পড়লে চান্স পাবি না।”
একজন স্টুডেন্টের পক্ষে কি ১০-১২টা বই কেনা এবং পড়া সম্ভব? একদমই না। আর এখানেই Master Book তোমার লাইফ সেভ করবে। আমি মনে করি, শুধু এই বইগুলোর জন্যই এই কোর্সে এনরোল করা উচিত।
মাস্টার বুক কেন অনন্য?
১. All-in-One: ৫-৬ জন জনপ্রিয় রাইটারের বই এনালাইসিস করে সব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, সব ধরনের ম্যাথ এবং থিওরি এক বইতে আনা হয়েছে। অর্থাৎ, তোমার কাছে মাস্টার বুক থাকা মানে তোমার টেবিলে সব রাইটারের সেরা নির্যাস থাকা। ২. হ্যাকস ও শর্টকাট: বইয়ের চিপায়-চাপায় এমন সব শর্টকাট দেওয়া আছে যা তোমাকে এমসিকিউ-তে সুপারফাস্ট করে তুলবে। ৩. বোর্ড প্রশ্ন এনালাইসিস: বিগত বছরের বোর্ড প্রশ্ন এবং সেরা কলেজগুলোর (যেমন: নটর ডেম, ভিকারুননিসা) টেস্ট পরীক্ষার প্রশ্ন ব্যাখ্যাসহ সমাধান করা আছে। ৪. এডমিশন কর্নার: প্রতিটি টপিকের সাথে মার্ক করা আছে—এটি কি শুধু বোর্ডের জন্য, নাকি বুয়েটের জন্যও লাগবে।
ফ্রি হোম ডেলিভারি
তুমি যদি PCMB Bundle (Cycle 1-4) কোর্সটি কিনো, তবে ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি, ম্যাথ এবং বায়োলজির ৪টি মাস্টার বুক (হার্ডকপি) সম্পূর্ণ ফ্রি ডেলিভারিতে তোমার বাসায় পৌঁছে যাবে।
অধ্যায় ৬: মার্কেট কম্পারিজন – ১০ মিনিট স্কুল কেন অন্যদের চেয়ে আলোকবর্ষ এগিয়ে?
বাজারে অনেক অপশন আছে—লোকাল কোচিং, অন্যান্য এডটেক প্ল্যাটফর্ম, এবং ইউটিউব। কিন্তু কেন টেন মিনিট স্কুল তোমার একমাত্র চয়েস হওয়া উচিত? চলো লজিক দিয়ে তুলনা করি।
| প্যারামিটার | লোকাল অফলাইন কোচিং | অন্যান্য অনলাইন প্ল্যাটফর্ম | টেন মিনিট স্কুল (HSC 27 Batch) |
|---|---|---|---|
| শিক্ষক প্যানেল | এলাকার নির্দিষ্ট শিক্ষক (ভালো/মন্দ মেশানো)। ব্যাকআপ নেই। | নির্দিষ্ট কিছু সেলিব্রিটি শিক্ষক, কিন্তু ব্যাকআপ টিচার দুর্বল। | বুয়েট/মেডিকেল/ঢাবির টপারদের বিশাল প্যানেল। প্রতিটি বিষয়ে একাধিক এক্সপার্ট মেন্টর। |
| ক্লাস মেটেরিয়াল | হাতে লেখা নোট বা ফটোকপি শিট। | শুধু পিডিএফ (PDF) নোট। | মাস্টার বুক (Hardcopy) – যা ৫টি বইয়ের নির্যাস নিয়ে তৈরি এবং ফ্রি হোম ডেলিভারি। |
| ডাউট সলভ | ক্লাসে সবার সামনে প্রশ্ন করতে লজ্জা লাগে। টিচার ব্যস্ত থাকেন। | নির্দিষ্ট সময়ে সলভ ক্লাস হয়। ইনস্ট্যান্ট সলভ নেই। | Doubt Solve AI (24/7): রাত ৩টায় পড়তে বসে আটকালেও ছবি তুললেই সমাধান। |
| সিলেবাস ফ্লেক্সিবিলিটি | ব্যাচের গতিতে চলতে হয়। নিজের স্পিডে পড়ার সুযোগ নেই। | লাইভ ক্লাসের বাইরে এক্সেস সীমিত। | HSC 26 আর্কাইভ এক্সেস: কলেজের সিলেবাস না মিললে সিনিয়র ব্যাচের ক্লাস দেখে কভার করার স্বাধীনতা। |
| খরচ (Cost) | মাসে ৮,০০০ – ১২,০০০ টাকা। (বছরে প্রায় ১.৫ লক্ষ টাকা)। | বিষয়ভিত্তিক আলাদা পেমেন্ট, যা বেশ ব্যয়বহুল। | বান্ডেল অফারে বছরে মাত্র ১৪-১৮ হাজার টাকা। (অফলাইনের ১ মাসের খরচে এখানে পুরো কোর্স!) |
| টেকনোলজি | নেই বললেই চলে। | সাধারণ ওয়েবসাইট/অ্যাপ। | গেমফাইড অ্যাপ: লিডারবোর্ড, প্রোগ্রেস ট্র্যাকার এবং AI সাপোর্ট সহ অত্যাধুনিক ড্যাশবোর্ড। |
সিদ্ধান্ত: অন্য প্ল্যাটফর্ম তোমাকে শুধু “ক্লাস” দিচ্ছে। টেন মিনিট স্কুল তোমাকে দিচ্ছে একটি “পূর্ণাঙ্গ ইকোসিস্টেম”। যেখানে বই, ক্লাস, মেন্টরশিপ, এবং টেকনোলজি একসাথে কাজ করে তোমার A+ নিশ্চিত করতে।
অধ্যায় ৭: ভুল সিদ্ধান্তের খেসারত – এখন শুরু না করলে কী হারাবে? (Cost of Inaction)
তুমি হয়তো ভাবছ, “আচ্ছা, কলেজ শুরু হোক, তারপর দেখব।” বা “অফলাইনে তো বন্ধুরা পড়ছে, আমিও যাই।” কিন্তু এই সিদ্ধান্তের পরিণাম কী হতে পারে ভেবে দেখেছ?
১. টাকার অপচয়: অফলাইনে প্রতি মাসে ৮-১০ হাজার টাকা খরচ করে ২ বছরে তুমি প্রায় ২ লক্ষ টাকা খরচ করবে। অথচ এখানে মাত্র ১৮ হাজার টাকায় তুমি এর চেয়ে ভালো সার্ভিস পাচ্ছ। বাকি ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা দিয়ে তুমি ল্যাপটপ, স্কিল ডেভেলপমেন্ট বা ফ্যামিলির জন্য কিছু করতে পারতে। ২. সময়ের অপচয়: প্রতিদিন জ্যামে ২ ঘণ্টা নষ্ট মানে বছরে ৭৩০ ঘণ্টা নষ্ট! এই ৭৩০ ঘণ্টা তুমি যদি মাস্টার বুক প্র্যাকটিসে দিতে, তোমার বুয়েট বা মেডিকেল র্যাংক কোথায় যেত কল্পনা করো। ৩. ব্যাকলগ: কলেজ শুরুর পর পড়াশোনার চাপ সুনামির মতো আসবে। তখন শুরু করতে গেলে তুমি খেই হারিয়ে ফেলবে। যারা এখন (প্রি-বুকিংয়ে) শুরু করছে, তারা তখন রিলাক্সে থাকবে। ৪. কনফিডেন্স ক্রাইসিস: প্রথম টিউটোরিয়াল বা সিটি পরীক্ষায় যখন দেখবে তোমার বন্ধুরা সব পারছে (কারণ তারা অনলাইন ব্যাচে আগে থেকেই পড়েছে), আর তুমি পারছ না—তখন তোমার কনফিডেন্স ধসে পড়বে। একবার কনফিডেন্স ভেঙে গেলে তা রিকভার করা খুব কঠিন।
তুমি কি সত্যিই এই ঝুঁকি নিতে চাও? নাকি স্মার্ট সিদ্ধান্ত নিয়ে আজই নিজেকে নিরাপদ জোনে রাখতে চাও?
অধ্যায় ৮: একজন স্মার্ট HSC 27 স্টুডেন্টের “পারফেক্ট” রুটিন
তুমি যদি এই কোর্সে এনরোল করো, তবে তোমার দিনটা কেমন হতে পারে? একটি কাল্পনিক রুটিন দেখা যাক:
- সকাল ৮:০০ – দুপুর ২:০০: কলেজ ক্লাস ও প্র্যাকটিক্যাল। বন্ধুদের সাথে আড্ডা।
- দুপুর ৩:০০: বাসায় ফেরা, দুপুরের খাবার ও বিশ্রাম। (অফলাইন কোচিং থাকলে এই সময়টা জ্যামে নষ্ট হতো)।
- বিকেল ৫:০০ – সন্ধ্যা ৬:০০: মাস্টার বুক থেকে সেলফ স্টাডি বা কলেজের পড়া।
- সন্ধ্যা ৬:৩০ – রাত ৮:০০: 10MS লাইভ ক্লাস ১ (যেমন: ফিজিক্স)। টিচারের সাথে লাইভ ম্যাথ সলভ করা।
- রাত ৮:০০ – ৮:৩০: ব্রেক ও হালকা নাস্তা।
- রাত ৮:৩০ – ১০:০০: 10MS লাইভ ক্লাস ২ (যেমন: ম্যাথ)।
- রাত ১০:০০ – ১০:৩০: আজকের ক্লাসের ওপর Daily Exam দেওয়া (অ্যাপে)। ১০ মিনিটের পরীক্ষা, সাথে সাথে রেজাল্ট এবং লিডারবোর্ড চেক করা।
- রাত ১১:০০: ডিনার এবং পিসফুল ঘুম।
দেখো, কত সুন্দর গোছানো রুটিন! কোনো দৌড়াদৌড়ি নেই, ক্লান্তি নেই। শুধু ফোকাসড পড়াশোনা।
অধ্যায় ৯: অভিভাবক কর্নার – একটি খোলা চিঠি
শ্রদ্ধেয় অভিভাবক,
আমরা জানি সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে আপনারা কতটা চিন্তিত। বর্তমান যুগে সন্তানের নিরাপত্তা এবং সঠিক শিক্ষা—দুটোই আপনাদের প্রায়োরিটি। অনেক সময় আপনারা বুঝতে পারেন না কোনটা সন্তানের জন্য ভালো হবে।
একজন শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবে আমি কেন টেন মিনিট স্কুল আপনার সন্তানের জন্য রিকমেন্ড করছি?
১. নিরাপত্তা: আপনার সন্তানকে ঢাকার অসহনীয় যানজট বা রাতে কোচিং থেকে ফেরার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে হবে না। সে আপনার চোখের সামনে, আপনার বাসায় বসেই দেশের সেরা শিক্ষকদের ক্লাস করবে। মেয়েদের জন্য এটি বিশেষ স্বস্তির। ২. অর্থনৈতিক সাশ্রয়: অফলাইনে ৪টি বিষয়ে মাসে যে খরচ হয় (৮-১০ হাজার টাকা), অনলাইনে সেই টাকায় প্রায় সারা বছরের কোর্স কেনা যায়। এই সাশ্রয়কৃত টাকা আপনারা সন্তানের উচ্চশিক্ষার জন্য বা ভবিষ্যতের জন্য জমিয়ে রাখতে পারেন। ৩. মনিটরিং ও স্বচ্ছতা: আপনার সন্তান অফলাইন কোচিংয়ে গিয়ে আদৌ ক্লাস করছে কিনা, তা জানার উপায় থাকে না। কিন্তু আমাদের অ্যাপে আপনি দেখতে পারবেন সে কয়টি ক্লাস করেছে, পরীক্ষায় কত পেয়েছে, এবং লিডারবোর্ডে তার অবস্থান কত। তার প্রোগ্রেস এখন আপনার হাতের মুঠোয়। ৪. সেরা গাইডলাইন: মফস্বল বা গ্রামে বসেও আপনার সন্তান বুয়েট-মেডিকেলের ভাইয়াদের সরাসরি গাইডলাইন পাচ্ছে, যা আগে স্বপ্ন ছিল। ঢাকার সেরা কলেজের ছাত্রদের সাথে সে সমান তালে পাল্লা দেবে।
আপনার সন্তানের মেধা এবং আপনাদের কষ্টের টাকা—দুটোর সঠিক মূল্যায়ন হবে এখানেই।
অধ্যায় ১০: প্রাইসিং ও অফার – ১০,০০০ টাকা বাঁচানোর সুবর্ণ সুযোগ!
এবার আসি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নে—খরচ কত? তুমি যদি আলাদা আলাদাভাবে সাইকেল কেনো, তবে খরচ একটু বেশি পড়বে। কিন্তু তুমি যদি স্মার্ট ডিসিশন নাও এবং “Bundle Course” কেনো, তবে বিশাল ডিসকাউন্ট পাবে।
১০.১ সিঙ্গেল সাবজেক্ট (যেকোনো ১টি বিষয়, যেমন ফিজিক্স)
তুমি যদি শুধু ফিজিক্সের সাইকেল ১ থেকে ৪ পর্যন্ত কেনো:
- মাস্টার বুক ছাড়া: ৬,০০০ টাকা
- মাস্টার বুক সহ: ৭,২০০ টাকা
১০.২ PCMB বান্ডেল (৪টি বিষয় একসাথে – Physics, Chemistry, Math, Biology)
এখানেই আসল ম্যাজিক! তুমি যদি ৪টি বিষয় আলাদা কেনো, তবে খরচ হতো (৬,০০০ x ৪) = ২৪,০০০ টাকা। কিন্তু বান্ডেল অফারে:
- মাস্টার বুক ছাড়া: মাত্র ১৪,০০০ টাকা (তুমি বাঁচাচ্ছ ১০,০০০ টাকা!)
- মাস্টার বুক সহ: মাত্র ১৮,৮০০ টাকা (৪টি মোটা হার্ডকপি গাইডবুক সহ!)
(বি:দ্র: অফারের মূল্য পরিবর্তন হতে পারে। লিংকে ক্লিক করে লেটেস্ট প্রাইস দেখে নাও। প্রি-বুকিং চলাকালীন কিনলে হয়তো আরও স্পেশাল ডিসকাউন্ট থাকতে পারে।)
পেমেন্ট মেথড: বিকাশ, নগদ, রকেট বা যেকোনো ব্যাংক কার্ড দিয়ে পেমেন্ট করা যায়। এমনকি ইনস্টলমেন্ট বা কিস্তির সুবিধাও মাঝে মাঝে থাকে।
অধ্যায় ১১: সাফল্যের গল্প – কেন হাজারো শিক্ষার্থী এখানে পড়ছে?
টেন মিনিট স্কুল গত কয়েক বছর ধরে লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থীকে পড়িয়ে আসছে। গত এইচএসসি ব্যাচগুলোর রেজাল্ট এবং এডমিশন টেস্টে তাদের সাফল্য প্রমাণ করে যে এই মেথড কাজ করে।
আবির (বুয়েট সিভিল): “কলেজ লাইফে আমি অফলাইনে প্রাইভেট পড়িনি। টেন মিনিট স্কুলের ফিজিক্স আর ম্যাথ ক্লাসগুলো আমার বেসিক এত স্ট্রং করে দিয়েছিল যে এডমিশনে আমার এক্সট্রা প্যারা নিতে হয়নি। মাস্টার বুকটা আমার জন্য বাইবেলের মতো ছিল।”
সাদিয়া (ঢাকা মেডিকেল): “বায়োলজির ক্লাসগুলো ছিল গল্পের মতো। ভাইয়ারা এত সুন্দর করে বুঝাতেন যে বই না খুললেও মনে থাকত। আর এক্সাম ফিচারটা আমাকে টাইমিং ঠিক করতে সাহায্য করেছে। ঘরে বসে মেডিকেলে চান্স পাওয়ার স্বপ্ন পূরণ করেছে টেন মিনিট স্কুল।”
তুমি কি চাও না তোমার নামটাও একদিন এই তালিকায় আসুক? তোমার বাবা-মা গর্ব করে বলুক, “আমার ছেলে/মেয়ে বুয়েটে পড়ে”? সেই স্বপ্নের শুরুটা আজই করতে হবে।
অধ্যায় ১২: এনরোলমেন্ট গাইড – কীভাবে ভর্তি হবে?
ভর্তি প্রক্রিয়া খুবই সহজ। মাত্র ২ মিনিটে তুমি এনরোল করতে পারবে। কোনো জটিলতা নেই।
ধাপ ১: নিচে দেওয়া লিংকে ক্লিক করো। 👉 [HSC 27 অনলাইন ব্যাচে ভর্তি হতে ক্লিক করো] (এখানে তোমার এফিলিয়েট লিংক বসবে)
ধাপ ২: ‘কোর্সটি কিনুন’ বা ‘Enroll Now’ বাটনে ক্লিক করো।
ধাপ ৩: তোমার মোবাইল নাম্বার দিয়ে লগ-ইন করো (OTP যাবে)।
ধাপ ৪: তুমি কি বান্ডেল নিতে চাও নাকি সিঙ্গেল সাবজেক্ট, তা সিলেক্ট করো। (আমি স্ট্রংলি সাজেস্ট করব বান্ডেল নিতে, কারণ এতে ১০ হাজার টাকা সাশ্রয় হয় এবং সব বিষয় একসাথে পাওয়া যায়)।
ধাপ ৫: মাস্টার বুক সহ নাকি ছাড়া, তা সিলেক্ট করো। (বইগুলো যেহেতু এক্সক্লুসিভ এবং বাইরে পাওয়া যায় না, তাই সহ নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। বিশ্বাস করো, বইগুলো হাতে পেলে তুমি আমাকে ধন্যবাদ দেবে)।
ধাপ ৬: পেমেন্ট মেথড (bKash/Nagad/Rocket) সিলেক্ট করে পেমেন্ট কমপ্লিট করো।
ব্যাস! সাথে সাথেই তুমি ড্যাশবোর্ডে এক্সেস পেয়ে যাবে। তোমাকে সিক্রেট ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার লিংক দেওয়া হবে। এবং ৩-৭ দিনের মধ্যে মাস্টার বুক তোমার দরজায় কড়া নাড়বে!
অধ্যায় ১৩: শেষ কথা – সিদ্ধান্ত তোমার, ভবিষ্যৎ তোমার (The Final Verdict)
প্রিয় শিক্ষার্থী,
আমি আর্টিকেলের একদম শেষে চলে এসেছি। এইচএসসি লাইফটা একটা ম্যারাথন দৌড়ের মতো। এখানে যারা শুরুতে জোরে দৌড়ে পরে হাঁপিয়ে যায়, তারা হেরে যায়। আর যারা কনসিস্টেন্টলি (ধারাবাহিকভাবে) সঠিক গাইডলাইনে দৌড়ায়, তারা বিজয়ের হাসি হাসে।
তোমার সামনে এখন দুটি রাস্তা: রাস্তা ১: গতানুগতিক ধারায় অফলাইন কোচিংয়ে দৌড়ে, জ্যামে সময় নষ্ট করে, নোটের পেছনে ছুটে ক্লান্ত হওয়া। দিনশেষে রেজাল্ট খারাপ হলে আফসোস করা। রাস্তা ২: ঘরে বসে, মায়ের হাতের রান্না খেয়ে, এসি রুমে রিলাক্সে দেশের সেরা টিচারদের কাছে স্মার্টলি প্রস্তুতি নেওয়া। ১০,০০০ টাকা বাঁচিয়ে সেটা অন্য কাজে লাগানো এবং দিনশেষে বুয়েট-মেডিকেলে চান্স পাওয়া।
আমি জানি তুমি স্মার্ট। তুমি দ্বিতীয় রাস্তাটাই বেছে নেবে।
টাকা হয়তো জীবনে অনেক আসবে, কিন্তু এই কলেজ লাইফের সময়টা আর ফিরে আসবে না। আজ যদি তুমি কয়েক হাজার টাকার মায়ায় এই কোর্সটা মিস করো, কাল হয়তো এডমিশনের রেজাল্টের দিন চোখের পানি ফেলতে হবে।
তাই নিজের ভবিষ্যতের ওপর ইনভেস্ট করতে কার্পণ্য করো না। তুমি কি তোমার স্বপ্নের জন্য এইটুকু করতে পারবে না?
আজই তোমার সিট কনফার্ম করো এবং এক ধাপ এগিয়ে থাকো তোমার স্বপ্নের ক্যাম্পাসের দিকে। আমরা আছি তোমার অপেক্ষায়।
শুভকামনা তোমার জন্য! দেখা হবে বিজয়ের মঞ্চে। 🚀
অধ্যায় ১৪: সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন (FAQ)
প্রশ্ন ১: আমি গ্রামের বাড়িতে থাকি, ইন্টারনেট স্লো। আমি কি ক্লাস করতে পারব? উত্তর: অবশ্যই! টেন মিনিট স্কুলের অ্যাপটি লো-ব্যান্ডউইথের জন্য অপ্টিমাইজ করা। লাইভ ক্লাসে সমস্যা হলে তুমি পরে রেকর্ডেড ক্লাস ডাউনলোড করে দেখতে পারবে, যা অফলাইনে দেখা যায়।
প্রশ্ন ২: মাস্টার বুক কবে হাতে পাব? উত্তর: বান্ডেল কোর্স কেনার সাধারণত ৭-১০ কর্মদিবসের মধ্যে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে মাস্টার বুক তোমার বাসায় পৌঁছে যাবে। ডেলিভারি চার্জ ফ্রি!
প্রশ্ন ৩: পরীক্ষার খাতা কীভাবে দেখা হয়? উত্তর: এমসিকিউ পরীক্ষা অ্যাপেই অটোমেটিক রেজাল্ট দেয়। আর সিকিউ বা লিখিত পরীক্ষার জন্য তুমি ছবি তুলে আপলোড করলে আমাদের টিচাররা তা চেক করে মার্কস ও ফিডব্যাক দেবেন।
প্রশ্ন ৪: আমি কি পরে বান্ডেল আপগ্রেড করতে পারব? উত্তর: হ্যাঁ, তুমি চাইলে শুরুতে এক সাইকেল কিনে পরে বান্ডেলে শিফট করতে পারো। তবে সেক্ষেত্রে একবারে কেনার বিশাল ডিসকাউন্টটি (১০,০০০ টাকা সেভিংস) হয়তো মিস করবে। তাই শুরুতেই বান্ডেল নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ।
প্রশ্ন ৫: কোনো টেকনিক্যাল সমস্যা হলে কার সাথে যোগাযোগ করব? উত্তর: টেন মিনিট স্কুলের ডেডিকেটেড সাপোর্ট টিম আছে। অ্যাপ থেকে মেসেজ দিলে বা 16910 নাম্বারে কল করলেই সমাধান পাবে।
[CTA – Call to Action] 🔥 অফার শেষ হওয়ার আগেই এনরোল করো! 🔗 লিংক: [তোমার এফিলিয়েট লিংক] 🏷️ প্রোমো কোড: [তোমার কোড] (১০% ডিসকাউন্টের জন্য)
দেরি করো না। তোমার বন্ধুরা হয়তো এখনই ক্লাস শুরু করে দিয়েছে!





