Home Blog

HSC 27 অনলাইন ব্যাচ: কলেজ জীবনের শুরু থেকে বুয়েট-মেডিকেল স্বপ্ন জয়ের পূর্ণাঙ্গ রোডম্যাপ

এই লেখাটি শুধুমাত্র তাদের জন্য যারা এইচএসসিতে গোল্ডেন এ-প্লাস এবং এডমিশনে টপ র‍্যাংক করার স্বপ্ন দেখে। যারা “কোনোরকম পাস” করতে চায়, এই লেখাটি তাদের জন্য নয়।

প্রিয় HSC 2027 ব্যাচের শিক্ষার্থী বন্ধুরা,

তোমাকে অভিনন্দন! জীবনের একটি কঠিন ধাপ, এসএসসি পরীক্ষার গণ্ডি পেরিয়ে তুমি এখন কলেজ জীবনের দোরগোড়ায়। স্কুল জীবনের সেই চেনা ইউনিফর্ম, চেনা ক্লাসরুম আর চেনা সিলেবাসের গণ্ডি পেরিয়ে তুমি এখন এমন এক জগতে প্রবেশ করতে যাচ্ছ, যা তোমার ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে দেবে।

একজন বড় ভাই হিসেবে আমি তোমাকে একটা নির্মম সত্য কথা বলি। প্রতি বছর এইচএসসি পরীক্ষার রেজাল্টের দিন দেখবে, এসএসসিতে গোল্ডেন এ-প্লাস পাওয়া হাজার হাজার ছেলেমেয়ে এইচএসসিতে জিপিএ-৫ মিস করেছে। আবার এসএসসিতে সাধারণ রেজাল্ট করা অনেকে এইচএসসিতে বাজিমাৎ করে বুয়েট-মেডিকেলে চান্স পেয়েছে।

কেন এমন হয়? কারণ, এইচএসসির সিলেবাস এসএসসির তুলনায় আকাশ-পাতাল তফাত। স্কুলের দুই বছরে তুমি পদার্থবিজ্ঞানে যা পড়েছ, কলেজে ওঠার পর দেখবে শুধু ভেক্টর অধ্যায়েই তার চেয়ে বেশি কনসেপ্ট আছে। রসায়নের বিক্রিয়া, উচ্চতর গণিতের ক্যালকুলাস আর জীববিজ্ঞানের বিশাল তথ্যভাণ্ডার—সব মিলিয়ে এই সময়টা সায়েন্সের স্টুডেন্টদের জন্য এক বিশাল চ্যালেঞ্জ।

অনেকেই বলে, “এসএসসিতে এ-প্লাস পাওয়া সহজ, কিন্তু এইচএসসিতে পাস করাই কঠিন।” কথাটা শুনে হয়তো তোমার ভয় লাগছে। কিন্তু ভয় পাওয়ার কিছু নেই। এই চ্যালেঞ্জ তোমাকে তৈরি করার জন্য। আগামী দুই বছর তুমি কীভাবে সময় কাটাবে, তার ওপর নির্ভর করবে তুমি ভবিষ্যতে সাদা অ্যাপ্রন পরে স্টেথোস্কোপ গলায় ঝুলাবে, নাকি বুয়েটের ল্যাবে বসে নতুন কিছু আবিষ্কার করবে, নাকি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লাল বাসে চড়বে।

কিন্তু সমস্যা হলো, সঠিক গাইডলাইনের অভাবে হাজার হাজার মেধাবী মুখ কলেজ লাইফের শুরুতেই খেই হারিয়ে ফেলে। কেউ কঠিন সিলেবাস দেখে হতাশ হয়ে পড়ে, কেউ বা ঢাকার জ্যামে আটকে কোচিংয়ে দৌড়াতে দৌড়াতে ক্লান্ত হয়ে যায়।

ঠিক এই জায়গাতেই তোমার প্রয়োজন একটি স্মার্ট সিদ্ধান্তের। আর সেই সিদ্ধান্তটি হতে পারে টেন মিনিট স্কুলের “HSC 27 Online Batch (Science)”। আমি ব্যক্তিগতভাবে এই কোর্সটির কারিকুলাম, ফিচার এবং স্টুডেন্ট ফিডব্যাক এনালাইসিস করে দেখেছি। কেন আমি মনে করি এটি বর্তমান সময়ের সেরা ইনভেস্টমেন্ট, তা আজ তোমাদের সামনে তুলে ধরব।

🔥 বেস্ট সেলিং বান্ডেল
HSC 27 অনলাইন ব্যাচ PCMB Bundle
১৬ মাসে সম্পূর্ণ সিলেবাস শেষ
প্রতিটি বিষয়ের এক্সক্লুসিভ মাস্টারবুক ফ্রি
বোনাস: আর্কাইভ ক্লাস ফ্রি
বান্ডেলে ১০,০০০ টাকা সাশ্রয়
২০,৫০০ (বর্তমান অফার মূল্য)
ভর্তি হতে ক্লিক করো
💰 ৯,৫০০৳ ছাড়ের কোড: hsc27bundle

এইচএসসি লাইফ – কেন এটি স্কুল জীবনের চেয়ে আলাদা?

আমরা শুরুতেই একটা কঠিন সত্যের মুখোমুখি হই। কেন টপ স্টুডেন্টরা এইচএসসিতে খারাপ করে? এর কারণ মেধার অভাব নয়, এর কারণ স্ট্র্যাটেজির অভাব এবং “কালচারাল শক” বা পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নিতে না পারা। এসএসসির রেজাল্ট নিয়ে আত্মতুষ্টিতে ভোগা এবং এইচএসসির গভীরতা বুঝতে না পারাই হলো প্রথম ভুল।

সিলেবাসের বিশালতা: সাগরের মাঝখানে একা

এসএসসিতে তুমি যখন বইয়ের পাতা উল্টাতে, তখন মনে হতো সিলেবাসটা হাতের মুঠোয়। ফিজিক্স বইটা ছিল মাত্র ২০০-৩০০ পেজের। কিন্তু এইচএসসিতে এসে তুমি দেখবে ফার্স্ট পেপার আর সেকেন্ড পেপার মিলিয়ে সেই ভলিউম বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১০০০-১২০০ পেজ। তাও সেটা মাত্র একটি বিষয়ের জন্য! কেমিস্ট্রি, ম্যাথ, বায়োলজি—প্রতিটি ক্ষেত্রেই এই বিশালতার ধাক্কা তোমাকে খেতে হবে।

সবচেয়ে ভয়ের ব্যাপার হলো সময়। এসএসসিতে তুমি প্রায় ২-২.৫ বছর সময় পেয়েছিলে ওই ছোট বইগুলো শেষ করার জন্য। আর এইচএসসিতে সিলেবাস ৫ গুণ বড়, কিন্তু সময় মাত্র ১৮ মাস (ছুটি এবং পরীক্ষা বাদ দিলে পড়ার সময় আরও কম)।

একটি বাস্তব তুলনা:

  • এসএসসি ফিজিক্স: ‘গতি’ অধ্যায়ে ৩-৪টি সূত্র ছিল। $v = u + at$, $s = ut + \frac{1}{2}at^2$… ব্যাস, মান বসালেই উত্তর চলে আসত।
  • এইচএসসি ফিজিক্স: ‘নিউটনীয় বলবিদ্যা’ বা ‘ভেক্টর’ অধ্যায়ে তুমি এমন সব টপিক পাবে—রকেটের গতি, রাস্তার ব্যাংকিং, কৌণিক ভরবেগ, জড়তার ভ্রামক, স্থিতিস্থাপক ও অস্থিতিস্থাপক সংঘর্ষ, টর্ক—যা বুঝতে গভীর মনোযোগ প্রয়োজন। এখানে একটি অধ্যায়ের গভীরতা এসএসসির পুরো বইয়ের সমান হতে পারে।

এই বিশাল সিলেবাস শেষ করাটা একটা আর্ট বা শিল্প। যারা শুরু থেকে এই আর্ট রপ্ত করতে পারে না, তারা টেস্ট পরীক্ষার আগে গিয়ে চোখে সর্ষে ফুল দেখে। তখন মনে হয়, “ইশ! যদি কলেজ শুরুর প্রথম দিন থেকে সিরিয়াস হতাম!”

কনসেপ্টের গভীরতা: মুখস্থ বিদ্যার দিন শেষ

স্কুলে অনেক কিছু মুখস্থ করে পার পাওয়া যেত। সৃজনশীল প্রশ্নের ‘গ’ এবং ‘ঘ’ নম্বর অনেক সময় মুখস্থ বিদ্যা বা গাইড বইয়ের কমন প্রশ্ন দিয়ে চালিয়ে দেওয়া যেত। কিন্তু কলেজে এই স্ট্র্যাটেজি ১০০% অকার্যকর।

এখানে ফিজিক্সের ম্যাথ বা অর্গানিক কেমিস্ট্রির বিক্রিয়া মুখস্থ করে তুমি এক পা-ও এগোতে পারবে না। কারণ, প্রশ্নগুলো হয় “কনসেপ্ট লিংকিং” বা একাধিক অধ্যায়ের সমন্বয়ে।

  • ম্যাথ ও ফিজিক্সের সম্পর্ক: তুমি যদি ক্যালকুলাস (অন্তরীকরণ ও যোগজীকরণ) না বোঝো, তবে ফিজিক্সের বেগ, ত্বরণ বা কাজ কিছুই বুঝবে না। এসএসসিতে ঢাল বা স্লোপ নিয়ে খুব একটা ভাবতে হতো না, কিন্তু এইচএসসিতে গ্রাফ এবং স্লোপ কনসেপ্ট না থাকলে তুমি অন্ধের মতো হাতড়াবে।
  • কেমিস্ট্রির গোলকধাঁধা: জৈব যৌগের (Organic Chemistry) হাজার হাজার বিক্রিয়া মনে রাখা মানুষের পক্ষে সম্ভব না, যদি না তুমি মেকানিজম বোঝো। ইলেকট্রন কোন দিক থেকে অ্যাটাক করছে, কেন করছে, কার্বোক্যাটায়ন কী—এগুলো না বুঝলে তুমি বিক্রিয়া মেলাতে পারবে না। এসএসসিতে যোজনী মুখস্থ করলেই চলত, এখানে তোমাকে হাইব্রিডাইজেশন, মলিকুলার অরবিটাল থিওরি বুঝতে হবে।
  • এডমিশন টেস্টের চ্যালেঞ্জ: বুয়েট বা মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় বইয়ের খুঁটিনাটি বেসিক থেকেই প্রশ্ন আসে, যা মুখস্থ করে উত্তর করা অসম্ভব। সেখানে প্রশ্ন এমনভাবে করা হয় যা তোমার চিন্তাশক্তি যাচাই করবে, স্মৃতিশক্তি নয়।

সময়ের সঠিক ব্যবহার ও “টাইম ট্র্যাপ”

কলেজ লাইফকে বলা হয় “হনিমুন পিরিয়ড”। নতুন কলেজ, নতুন বন্ধু, ইউনিফর্মের কড়াকড়ি নেই (অনেক ক্ষেত্রে), স্মার্টফোনের স্বাধীনতা—সব মিলিয়ে প্রথম ৩-৪ মাস স্বপ্নের মতো কাটে। আর ঠিক এই জায়গাতেই শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বড় ভুলটা করে।

কলেজের রুটিনটা একবার ভাবো:

  • সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ক্লাস।
  • এরপর প্র্যাকটিক্যাল ল্যাব, ল্যাব রিপোর্ট লেখা।
  • অ্যাসাইনমেন্ট, সিটি পরীক্ষা, ক্লাবের দায়িত্ব।
  • বন্ধুদের আড্ডা।

এর মাঝে নিজের পড়ার সময় বের করাটাই কঠিন। তার ওপর যদি তুমি অফলাইন কোচিং বা প্রাইভেটের ওপর নির্ভর করো, তবে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়। ঢাকার মতো শহরে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যেতে ১-১.৫ ঘণ্টা লাগে। অর্থাৎ, একটি ১ ঘণ্টার প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার জন্য তোমার যাতায়াতে নষ্ট হচ্ছে ২-৩ ঘণ্টা।

হিসাবটা সহজ: প্রতিদিন যদি যাতায়াতে ৩ ঘণ্টা নষ্ট হয়, তবে মাসে ৯০ ঘণ্টা বা প্রায় ৪ দিন তুমি শুধু রাস্তাতেই কাটাচ্ছ! বছরে প্রায় ৪৮ দিন বা দেড় মাস তুমি জ্যামে বসে থাকছ। এই সময়টা পড়ার এনার্জি শুষে নেয়। কোচিং থেকে ফিরে ক্লান্ত শরীরে পড়ার টেবিলে বসা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। ফলে সৃষ্টি হয় বিশাল “ব্যাকলগ” বা পড়া জমে যাওয়ার পাহাড়।

এই “টাইম ট্র্যাপ” থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় হলো স্মার্ট লার্নিং বা অনলাইন এডুকেশন। যেখানে তুমি জ্যামে বসে থাকার সময়টা কাজে লাগাতে পারবে নিজের স্কিল ডেভেলপমেন্ট বা বিশ্রামে, আর পড়াশোনা হবে তোমার সুবিধামতো সময়ে।

টেন মিনিট স্কুল HSC 27 অনলাইন ব্যাচ – একটি পূর্ণাঙ্গ ইকোসিস্টেম

আমি অনেকগুলো প্ল্যাটফর্ম দেখেছি, কিন্তু টেন মিনিট স্কুলের এই কোর্সটি গতানুগতিক কোনো ভিডিও কোর্স নয়। এটি একটি কমপ্লিট একাডেমিক ইকোসিস্টেম। এখানে টেকনোলজি, কন্টেন্ট এবং হিউম্যান মেন্টরশিপের এক অপূর্ব সমন্বয় ঘটেছে।

কেন “ইকোসিস্টেম” বলছি? কারণ, একটি ইকোসিস্টেমে বেঁচে থাকার জন্য সব উপাদান একে অপরের ওপর নির্ভরশীল এবং স্বয়ংসম্পূর্ণ থাকে। এখানেও ঠিক তাই। তোমার এইচএসসি লাইফে যা যা দরকার—ক্লাস, নোট, গাইড বই, প্রাইভেট টিউটর, এক্সাম হল, এবং মেন্টরশিপ—সবকিছু এই এক ছাতার নিচে নিয়ে আসা হয়েছে। তোমাকে ফিজিক্সের জন্য এক স্যারের কাছে, আর ম্যাথের জন্য আরেক কোচিংয়ে দৌড়াতে হবে না। এই “One Stop Solution” কনসেপ্টটাই একে অন্যদের চেয়ে আলাদা করেছে।

কোর্সটি আসলে কাদের জন্য ডিজাইন করা?

এই প্রিমিয়াম ইকোসিস্টেমটি তাদের জন্য, যারা নিজেদের নিয়ে উচ্চাকাঙ্ক্ষী:

🏆

বোর্ড টপার: গোল্ডেন এ-প্লাস নিশ্চিত

শুধু পাস নয়, যারা বোর্ডে প্লেস করতে চায়। এখানে প্রতিটি খুঁটিনাটি বেসিক থেকে এডভান্সড প্রস্তুতি নিশ্চিত করা হয়।

🎓

বুয়েট/মেডিকেল: চান্স পাওয়ার চ্যালেঞ্জ

যারা কলেজ লাইফের প্রথম দিন থেকেই ভার্সিটি এডমিশনের ফাউন্ডেশন তৈরি করতে চায়। এখানকার ক্লাসগুলো তোমাকে এডমিশনের জন্য রেডি করবে।

🗺️

লোকাল স্টুডেন্ট: সেরা গাইডলাইন

যারা মফস্বলে বসেও ঢাকার সেরা কলেজগুলোর শিক্ষার্থীদের মতো সমান সুযোগ-সুবিধা ও এক্সপার্ট গাইডলাইন পেতে চায়।

💡

স্মার্ট লার্নার: টাকা ও সময় সেভ

যারা অফলাইন কোচিংয়ের যাতায়াত এবং লক্ষ টাকা খরচ না করে, নামমাত্র মূল্যে সর্বোচ্চ কোয়ালিটি নিশ্চিত করতে চায়।

এই ইকোসিস্টেমের ৭টি স্তম্ভ

এই কোর্সের প্রতিটি ফিচার একেকটি স্তম্ভের মতো কাজ করে তোমার প্রস্তুতিকে মজবুত করে তোলে।

🗓️
সাইকেল ভিত্তিক পড়াশোনা

১৬ মাসের মাস্টারপ্ল্যান। বিশাল সিলেবাসকে ছোট ছোট লক্ষে ভাগ করে ধারাবাহিকতা বজায় রাখা হয়।

💻
ইন্টারঅ্যাক্টিভ লাইভ ক্লাস

সপ্তাহে ১২টি লাইভ ক্লাস। স্মার্টবোর্ডে এনিমেশন সহকারে কঠিন কনসেপ্ট সহজভাবে বোঝানো হয়।

📚
মাস্টার বুক (হার্ডকপি)

৫+ রাইটারের নির্যাস নিয়ে তৈরি এক্সক্লুসিভ গাইডবুক। এটি তোমার টেবিলে পৌঁছানো হবে।

⏱️
আর্কাইভ ক্লাস ফ্রি এক্সেস

HSC 26 ব্যাচের সব ক্লাস ফ্রি। কলেজের সিলেবাস না মিললেও তুমি এগিয়ে থাকতে পারবে। (তোমার পার্সোনাল টাইম মেশিন!)

🤖
Doubt Solve AI (২৪/৭)

রাত ৩টায় পড়তে বসে আটকে গেলে AI তাৎক্ষণিক সমাধান দেবে। তোমার পড়ার গতি নষ্ট হবে না।

🎤
উইকলি লাইভ Q&A

জুম/মিট সেশনে টিচারদের সাথে সরাসরি কথা বলার সুযোগ। পড়া বা মানসিক সমস্যা নিয়ে মেন্টরশিপ।

🏆
পরীক্ষা ও লিডারবোর্ড

ডেইলি ও উইকলি এক্সাম দিয়ে নিজেকে যাচাই করো এবং লিডারবোর্ডে নিজের অবস্থান নিশ্চিত করো।

সাইকেল সিস্টেম – ১৬ মাসে সিলেবাস জয়ের ব্লু-প্রিন্ট

এইচএসসির বিশাল সিলেবাস দেখে যেকোনো সাধারণ শিক্ষার্থীর হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। তাই টেন মিনিট স্কুল পুরো সিলেবাসকে ৪টি ছোট সাইকেলে ভাগ করেছে। একে বলা হয় “Divide and Conquer” বা “ভাগ করো এবং শাসন করো” মেথড। এই পদ্ধতিতে তুমি পুরো পাহাড়ের দিকে না তাকিয়ে শুধু তোমার সামনে থাকা ছোট টিলাটি পার করবে, এবং অজান্তেই দেখবে তুমি পাহাড়ের চূড়ায় পৌঁছে গেছ।

সাইকেল ১: ফাউন্ডেশন
কলেজ শুরুর প্রথম ৩-৪ মাস
ফোকাস: ভেক্টর, গুণগত রসায়ন, ম্যাট্রিক্স, কোষ ও এর গঠন।
কলেজ শুরুর আগেই বেসিক স্ট্রং করে এগিয়ে থাকার সেরা সময়।
সাইকেল ২: হাফ ইয়ারলি টার্গেট
ফার্স্ট ইয়ার ফাইনাল পর্যন্ত
ফোকাস: কাজ ক্ষমতা শক্তি, রাসায়নিক পরিবর্তন, ক্যালকুলাস বেসিক।
কলেজের পরীক্ষার সিলেবাসের সাথে তাল মিলিয়ে প্রস্তুতি।
সাইকেল ৩: অ্যাডভান্সড টপিক
সেকেন্ড ইয়ারের শুরু
ফোকাস: জৈব যৌগ, তড়িৎ বিজ্ঞান, ইন্টিগ্রেশন।
এডমিশন টেস্টের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও কঠিন অধ্যায়গুলো সহজ করা।
সাইকেল ৪: ফাইনাল প্রস্তুতি
টেস্ট পরীক্ষার ৩-৪ মাস আগে
ফোকাস: বাকি অধ্যায় শেষ করা, টেস্ট পেপার সলভ এবং ম্যারাথন রিভিশন।
এইচএসসির জন্য ১০০% প্রস্তুত হওয়া।

বিষয়ভিত্তিক মাইক্রো-এনালাইসিস – গভীরে চলো

বিজ্ঞান বিভাগের প্রতিটি বিষয়ের নিজস্ব চ্যালেঞ্জ বা “পেইন পয়েন্ট” আছে। টেন মিনিট স্কুল কীভাবে প্রতিটি সাবজেক্টের এই স্পেসিফিক সমস্যাগুলো টেকনোলজি এবং এক্সপার্ট মেন্টরশিপ দিয়ে সমাধান করছে, তা চলো গভীরে গিয়ে দেখি।

পদার্থবিজ্ঞান (Physics) – ভিজুয়ালাইজেশনের খেলা

এইচএসসি ফিজিক্সের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো “কল্পনা করতে না পারা”।

  • সমস্যা: বইয়ে লেখা আছে “প্রাসের গতি”, কিন্তু তুমি বুঝতে পারছ না বলটি কীভাবে বাতাসে ভাসছে।
  • সমাধান (10MS Way): এই কোর্সে ফিজিক্স পড়ানো হয় স্মার্টবোর্ডে এনিমেশন ব্যবহার করে। যখন ভেক্টর পড়ানো হবে, তুমি স্ক্রিনে দেখবে নৌকা স্রোতের প্রতিকূলে কীভাবে এগোচ্ছে। “কাজ, শক্তি ও ক্ষমতা” অধ্যায়ে রোলার কোস্টারের সিমুলেশন দেখিয়ে এনার্জির পরিবর্তন বোঝানো হবে। একবার চোখে দেখলে সেই কনসেপ্ট আর ভুলবে না।

রসায়ন (Chemistry) – বিক্রিয়া আর ভয় নেই

রসায়ন অনেকের কাছেই দুঃস্বপ্ন, বিশেষ করে সেকেন্ড পেপারের জৈব রসায়ন।

  • সমস্যা: হাজার হাজার বিক্রিয়া মনে রাখা মানুষের পক্ষে সম্ভব না। অধিকাংশ স্টুডেন্ট পরীক্ষার হলে গিয়ে ভুলে যায়—অ্যালকোহল জারণ করলে অ্যালডিহাইড হয় নাকি অ্যাসিড হয়?
  • সমাধান (10MS Way): ভাইয়ারা বিক্রিয়ার মেকানিজম (Mechanism) বা কৌশল শেখান। ইলেকট্রন কোন দিক থেকে অ্যাটাক করছে—এগুলো জানলে তুমি নিজেই বিক্রিয়া তৈরি করতে পারবে। তোমাকে আর তোতা পাখির মতো মুখস্থ করতে হবে না।

গণিত (Higher Math) – ক্যালকুলাস এখন জলভাত

সায়েন্সের স্টুডেন্টদের প্রধান ভীতি হলো ক্যালকুলাস।

  • সমস্যা: $\frac{dy}{dx}$ বা $\int$ চিহ্ন দেখলেই অধিকাংশ স্টুডেন্টের জ্বর আসে।
  • সমাধান (10MS Way): ভাইয়ারা রিয়েল লাইফ উদাহরণ দিয়ে বোঝাবেন কেন ক্যালকুলাস দরকার। একটি বক্ররেখার ঢাল (Slope) বের করা বা একটি আঁকাবাঁকা ক্ষেত্রের ক্ষেত্রফল নির্ণয়ের কনসেপ্ট একদম পরিষ্কার হয়ে যাবে।
  • ক্যালকুলেটর হ্যাকস: এমসিকিউ পরীক্ষায় প্রতিটি প্রশ্নের জন্য সময় মাত্র ৪০-৫০ সেকেন্ড। এই কোর্সে শেখানো হবে কীভাবে ক্যালকুলেটর ব্যবহার করে ৫ সেকেন্ডে জটিল ম্যাথ সলভ করা যায়।

জীববিজ্ঞান (Biology) – তথ্যের মহাসাগর পাড়ি দেওয়া

বায়োলজি মানেই কি শুধুই মুখস্থ? একদম না।

  • সমস্যা: হাজার হাজার বৈজ্ঞানিক নাম এবং জটিল প্রক্রিয়া মনে রাখা।
  • সমাধান (10MS Way): মানবদেহের রক্ত সঞ্চালন, শ্বসনতন্ত্র বা ডিএনএ-র গঠন—সবকিছু থ্রিডি মডেলে (3D Model) দেখানো হবে। হৃদপিণ্ডের ভালভগুলো কীভাবে খুলছে ও বন্ধ হচ্ছে, তা চোখের সামনে মুভি স্টাইলে দেখলে আর ভুলবে না।

কারা পড়াচ্ছেন এই কোর্স?

Tahmidul Yeasin Abid

তাহমিদুল ইয়াসিন আবিদ

বুয়েট ৫+ বছরের অভিজ্ঞতা
Sumya Akter Mim

সুমাইয়া আক্তার মিম

ডিএমসি ২+ বছরের অভিজ্ঞতা
Md Kamrul Hasan Shovon

মোঃ কামরুল হাসান শোভন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১০+ বছরের অভিজ্ঞতা
Adittya Al-Rajhi

আদিত্য আল-রাজী

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৪+ বছরের অভিজ্ঞতা
Sabbir Ahmed Rifat

সাব্বির আহমেদ রিফাত

রুয়েট ৫+ বছরের অভিজ্ঞতা
Khandoker Tauhid Imam

খন্দকার তৌহিদ ইমাম

এইউএসটি ৫+ বছরের অভিজ্ঞতা
Aman Islam Siam

আমান ইসলাম সিয়াম

বুয়েট ৪+ বছরের অভিজ্ঞতা
Mehdi Mohammed

মেহদী মোহাম্মদ

সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল ৪+ বছরের অভিজ্ঞতা
Shamima Jahid Preeti

শামীমা জাহিদ প্রীতি

সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল ৪+ বছরের অভিজ্ঞতা
Fardin Ihasan

ফারদিন ইহসান

ঢাকা কলেজ ৬+ বছরের অভিজ্ঞতা

এক্সক্লুসিভ মাস্টার বুক (Master Book) – তোমার গোপন হাতিয়ার

কলেজ লাইফ শুরু হওয়ার সাথে সাথেই একজন শিক্ষার্থীর মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে যখন সে বইয়ের তালিকা দেখে। একেকটি বিষয়ের জন্য বাজারে ৫-১০ জন বিখ্যাত রাইটারের বই! একজন স্টুডেন্টের পক্ষে কি ১০-১২ হাজার টাকা খরচ করে সব রাইটারের বই কেনা সম্ভব? একদমই না।

ঠিক এই কঠিন সমস্যাটির সমাধান হিসেবে টেন মিনিট স্কুল নিয়ে এসেছে “Master Book”। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, এই কোর্সের সবচেয়ে বড় “ভ্যালু ফর মানি” বা সেরা ফিচার হলো এই হার্ডকপি বইগুলো।

কেন এটি অনন্য?

  • All-in-One: ৫-৬ জন জনপ্রিয় রাইটারের বই এনালাইসিস করে সব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, সব ধরনের ম্যাথ এবং থিওরি এক বইতে আনা হয়েছে। অর্থাৎ, তোমার কাছে মাস্টার বুক থাকা মানে তোমার টেবিলে সব রাইটারের সেরা নির্যাস থাকা।
  • হ্যাকস ও শর্টকাট: বইয়ের চিপায়-চাপায় এমন সব শর্টকাট টেকনিক দেওয়া আছে যা তোমাকে এমসিকিউ-তে সুপারফাস্ট করে তুলবে।
  • বোর্ড প্রশ্ন এনালাইসিস: বিগত বছরের বোর্ড প্রশ্ন এবং সেরা কলেজগুলোর (যেমন: নটর ডেম, ভিকারুননিসা) টেস্ট পরীক্ষার প্রশ্ন ব্যাখ্যাসহ সমাধান করা আছে।
  • এডমিশন কর্নার: এইচএসসি পড়ার সময়ই এডমিশনের প্রস্তুতি নেওয়াটা বুদ্ধিমানের কাজ। মাস্টার বুকে প্রতিটি টপিকের পাশে মার্ক করা আছে— “Board Standard” নাকি “Admission Standard”।

ফ্রি হোম ডেলিভারি: তুমি যদি PCMB Bundle (Cycle 1-4) কোর্সটি কিনো, তবে ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি, ম্যাথ এবং বায়োলজির মাস্টার বুক (হার্ডকপি) সম্পূর্ণ ফ্রি ডেলিভারিতে তোমার বাসায় পৌঁছে যাবে। শুধু এই বইগুলোর বাজারমূল্যই প্রায় কয়েক হাজার টাকা। তাই আলাদা আলাদা সাইকেল না কিনে, বান্ডেল অফারটি নেওয়াটাই সবচেয়ে লাভজনক সিদ্ধান্ত।

অন্যান্য প্ল্যাটফর্ম বা অফলাইন কোচিং তোমাকে শুধু “ক্লাস” দিচ্ছে। কিন্তু টেন মিনিট স্কুল তোমাকে দিচ্ছে একটি “পূর্ণাঙ্গ ইকোসিস্টেম”। যেখানে বই, ক্লাস, মেন্টরশিপ, এবং কাটিং-এজ টেকনোলজি একসাথে কাজ করে তোমার A+ এবং এডমিশন সাফল্য নিশ্চিত করতে।

🔥 বেস্ট সেলিং বান্ডেল
HSC 27 অনলাইন ব্যাচ PCMB Bundle
১৬ মাসে সম্পূর্ণ সিলেবাস শেষ
প্রতিটি বিষয়ের এক্সক্লুসিভ মাস্টারবুক ফ্রি
বোনাস: আর্কাইভ ক্লাস ফ্রি
বান্ডেলে ১০,০০০ টাকা সাশ্রয়
২০,৫০০ (বর্তমান অফার মূল্য)
ভর্তি হতে ক্লিক করো
💰 ৯,৫০০৳ ছাড়ের কোড: hsc27bundle

ভুল সিদ্ধান্তের খেসারত – এখন শুরু না করলে কী হারাবে?

তুমি হয়তো ভাবছ, “বন্ধুরা সবাই অফলাইনে ভর্তি হচ্ছে, আমিও সেখানেই যাই।” শুনতে খুব স্বাভাবিক মনে হলেও, এইচএসসির মতো প্রতিযোগিতামূলক সময়ে এই একটি ভুল সিদ্ধান্ত বা সিদ্ধান্তহীনতা তোমার ক্যারিয়ারে বড় বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।

১. অর্থনৈতিক ক্ষতি (লক্ষ টাকার অপচয়): ঢাকার বা মফস্বলের ভালো কোনো অফলাইন কোচিংয়ে ৪টি বিষয় পড়তে গেলে ২ বছরে খরচ হয় প্রায় ২ লক্ষ থেকে ২.৫ লক্ষ টাকা। অথচ এখানে তুমি বান্ডেল অফারে মাত্র ২৬০০০ টাকায় (রেগুলার প্রাইস) পুরো কোর্স পাচ্ছ। তুমি যদি এই কোর্সটি কেনো, তুমি তোমার বাবার প্রায় ২ লক্ষ টাকা সাশ্রয় করছ। এই টাকা দিয়ে তুমি ভবিষ্যতে একটি ভালো ল্যাপটপ কিনতে পারবে।

২. সময়ের অপচয় (৭৩০ ঘণ্টার ট্র্যাজেডি): কোচিংয়ে যাওয়া-আসা মিলিয়ে প্রতিদিন গড়ে ২ ঘণ্টা নষ্ট হয়। বছরে ৭৩০ ঘণ্টা নষ্ট! এই ৭৩০ ঘণ্টা মানে প্রায় ৩০টি পূর্ণ দিবস তুমি শুধু রাস্তায় ধুলোবালি খেয়ে কাটিয়েছ। অনলাইনে পড়ার ফলে এই সময়টা তোমার পকেটে। এই সময়ে তুমি মাস্টার বুক সলভ করতে পারতে, যা তোমাকে বুয়েট-মেডিকেলে টপ করতে সাহায্য করবে।

৩. ব্যাকলগ বা পড়ার পাহাড়: অফলাইনে একদিন ক্লাস মিস করলে সেই লেকচার আর ফিরে পাওয়া যায় না। এভাবে ছোট ছোট গ্যাপ জমে পাহাড় সমান “ব্যাকলগ” তৈরি হয়। কিন্তু এখানে সব রেকর্ডেড থাকছে। তুমি শুক্রবার ছুটির দিনে বা রাতের বেলা সেই ব্যাকলগ কভার করে ফেলতে পারবে।

৪. কনফিডেন্স ক্রাইসিস: পরীক্ষার হলে যখন দেখবে প্রশ্ন এসেছে এমন টপিক থেকে যা তোমার অফলাইন কোচিংয়ে এখনো পড়ায়নি, কিন্তু তোমার পাশের বন্ধু (যে 10MS-এ সাইকেল ১ আগেই শেষ করেছে) অনর্গল লিখে যাচ্ছে—তখন তোমার কনফিডেন্স ধসে পড়বে।

তুমি কি সত্যিই এই ঝুঁকিগুলো নিতে চাও? নাকি একটু স্মার্ট হয়ে, প্রযুক্তির সুবিধা নিয়ে, নিজের টাকা ও সময় বাঁচিয়ে নিজেকে নিরাপদ জোনে রাখতে চাও?

HSC Perfect Routine (Amazon Style)

একজন স্মার্ট HSC ’27 স্টুডেন্টের রুটিন

সফলতা এবং ব্যর্থতার মধ্যে মূল পার্থক্যটা মেধার নয়, বরং রুটিন বা টাইম ম্যানেজমেন্টের।

একজন সাধারণ স্টুডেন্ট, যে অফলাইন কোচিং করে, তার দিন কাটে দৌড়াদৌড়ি আর জ্যামে বসে থেকে। অন্যদিকে, টেন মিনিট স্কুলের স্টুডেন্টরা টেকনোলজি ব্যবহার করে নিজের ঘরে বসেই স্মার্টলি প্রস্তুতি নেয়। চলো, একটি তুলনামূলক রুটিন দেখি:

সকাল ৮:০০ – দুপুর ২:০০
স্মার্ট রুটিন: কলেজ ক্লাস ও প্র্যাকটিক্যাল। পুরোপুরি একাডেমিক ফোকাস।
সাধারণ রুটিন: কলেজ ক্লাস, কিন্তু মাথায় থাকে “কোচিংয়ে দৌড়াতে হবে।”
দুপুর ২:৩০ – ৩:৩০
স্মার্ট রুটিন: বাসায় ফিরে ফ্রেশ হয়ে, মায়ের হাতের গরম ভাত খেয়ে রিলাক্স করা।
সাধারণ রুটিন: রাস্তায় যুদ্ধ, জ্যাম ঠেলে কোচিং সেন্টারের দিকে যাত্রা।
দুপুর ৩:৩০ – ৫:০০
স্মার্ট রুটিন: পাওয়ার ন্যাপ: দেড় ঘণ্টার ঘুম বা বিশ্রাম। ব্রেইন রিচার্জ করা।
সাধারণ রুটিন: কোচিং ক্লাস: ক্লান্ত শরীরে বসে থাকা। অর্ধেক লেকচার মাথার ওপর দিয়ে যাওয়া।
বিকেল ৫:০০ – সন্ধ্যা ৬:৩০
স্মার্ট রুটিন: সেলফ স্টাডি: মাস্টার বুক থেকে কলেজের পড়া ঝালিয়ে নেওয়া।
সাধারণ রুটিন: বাসায় ফেরার জ্যাম। শরীর আর চলছে না। পড়ার এনার্জি শূন্য।
সন্ধ্যা ৬:৩০ – রাত ৮:০০
স্মার্ট রুটিন: লাইভ ক্লাস ১ (10MS): ফিজিক্স ক্লাস। এসি/ফ্যানের নিচে রিলাক্সে।
সাধারণ রুটিন: বাসায় ফিরে ক্লান্ত, পড়ার টেবিলে বসার ইচ্ছা নেই।
রাত ৮:৩০ – ১০:০০
স্মার্ট রুটিন: লাইভ ক্লাস ২ (10MS): ম্যাথ বা কেমিস্ট্রি ক্লাস। জটিল টপিক এনিমেশন দিয়ে বোঝা।
সাধারণ রুটিন: পড়ার চেষ্টা, কিন্তু দিনের ক্লান্তি থাকায় পড়া মাথায় ঢুকছে না।
রাত ১০:০০ – ১০:৩০
স্মার্ট রুটিন: ডেইলি এক্সাম: আজকের পড়ার ওপর ১০ মিনিটের পরীক্ষা।
সাধারণ রুটিন: নিজেকে যাচাই করার সুযোগ নেই।
রাত ১১:০০
স্মার্ট রুটিন: ডিনার ও পিসফুল ঘুম।
সাধারণ রুটিন: পড়া হয়নি বলে টেনশনে রাত জাগা।

দেখো, কত সুন্দর গোছানো রুটিন! কোনো দৌড়াদৌড়ি নেই, ক্লান্তি নেই। শুধু ফোকাসড পড়াশোনা।

২০২৬ সালে নিজেকে জিরো থেকে হিরো বানানোর পূর্ণাঙ্গ গাইডলাইন

একটু থামুন। গভীর একটা শ্বাস নিন। এবং নিজেকে প্রশ্ন করুন—”আমি আসলে কোথায় দাঁড়িয়ে আছি?”

আমরা এখন ২০২৫ সালের শেষ লগ্নে। দরজায় কড়া নাড়ছে ২০২৬। কিন্তু আপনি কি খেয়াল করেছেন আপনার চারপাশে, আপনার নিজের অজান্তে এক বিশাল পরিবর্তন ঘটে গেছে? পৃথিবীটা এখন আর সেই জায়গায় নেই, যেখানে ৫ বছর আগে ছিল।

আপনার চোখের সামনে দিয়ে আপনারই পরিচিত সেই পেছনের বেঞ্চের ছেলেটি, যে ক্লাসে ঠিকমতো নোট তুলত না, সে আজ রিমোট জব করে মাসে লক্ষ টাকা আয় করছে। সে হয়তো বালিতে বসে ল্যাপটপে কাজ করছে, আর আপনি জ্যামে বসে ঘামছেন। অন্যদিকে, আপনার পরিচিত বড় ভাইটি—যে ডিপার্টমেন্টে ফার্স্ট ছিল, সিজিপিএ ৩.৯০—সে এখনো একের পর এক চাকরির ইন্টারভিউ দিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু কল আসছে না।

কেন এমন হচ্ছে? পৃথিবী কি উল্টে গেল?

না, পৃথিবী উল্টায়নি। শুধু খেলার নিয়মটা (Rules of the Game) বদলে গেছে। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা আমাদের তৈরি করছে ১৯-শতকের কারখানার শ্রমিক হিসেবে—যাদের কাজ শুধু নির্দেশ মানা। কিন্তু ২১-শতকের এই এ আই (AI) শাসিত পৃথিবী খুঁজছে “প্রবলেম সলভার” বা সমস্যা সমাধানকারী।

বাংলাদেশে প্রতি বছর লাখ লাখ গ্রাজুয়েট বের হচ্ছে। কিন্তু ভালো মানের চাকরির সংখ্যা কমছে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা চ্যাটজিপিটি (ChatGPT) এসে সেই সব কাজ কেড়ে নিচ্ছে যা রোবট দিয়ে করা সম্ভব। ডাটা এন্ট্রি, সাধারণ কন্টেন্ট রাইটিং, বেসিক গ্রাফিক ডিজাইন—সব এখন সফটওয়্যারের দখলে।

তাহলে আপনার ভবিষ্যৎ কী?

যদি আপনি এখনো ভাবেন—”মাস্টার্সটা শেষ করি, তারপর দেখব”—তবে আপনি নিজের পায়ে কুড়াল মারছেন। এখন “দেখার” সময় নেই, এখন “প্রস্তুত হওয়ার” সময়। টিকে থাকার একটাই উপায়—নিজেকে এমনভাবে আপগ্রেড করা, নিজের স্কিল-সেটকে এমনভাবে সাজানো যেন কোনো এ আই, কোনো অর্থনৈতিক মন্দা, বা কোনো মামা-চাচা ছাড়া আপনি নিজের যোগ্যতায় রাজত্ব করতে পারেন।

কিন্তু সমস্যা হলো, ইন্টারনেটে তথ্যের মহাসমুদ্রে আমরা দিশেহারা। হাজার হাজার মোটিভেশনাল স্পিকার, হাজার হাজার ভিডিও, লক্ষ লক্ষ উপদেশ। এর মধ্যে কোনটি সঠিক? কোনটি আপনার জন্য? এই অতিরিক্ত তথ্যের চাপে আমরা কিছুই শুরু করতে পারি না। একে বলা হয় “Analysis Paralysis”

আজকের এই আর্টিকেলে আমরা ‘অন্বেষণ’ করেছি এমন ৫টি সুনির্দিষ্ট, পরীক্ষিত এবং সাইন্টিফিক রোডম্যাপ। আমরা এখানে কোনো তাত্ত্বিক জ্ঞান বা “ভালো মানুষ হোন” টাইপ উপদেশ দেব না। আমরা আপনাকে দেব অস্ত্র। এই আধুনিক যুদ্ধের ময়দানে টিকে থাকার জন্য সেরা বই (যা আপনার মগজ শান দেবে) এবং সেরা কোর্স (যা আপনাকে স্কিল শেখাবে)।

এই আর্টিকেলটি পড়ার পর আপনার আর কোনো কনফিউশন থাকবে না। আপনি জানবেন ঠিক আগামীকাল সকাল ৭টায় ঘুম থেকে উঠে আপনাকে কী করতে হবে।

আপনি কি প্রস্তুত নিজের ভার্সন ২.০ (You 2.0) আনলক করতে?

দ্য সাইকোলজি অফ সাকসেস – নিজের ব্রেনকে রি-প্রোগ্রাম করা

আপনি কি জানেন কেন ৯০% মানুষ জীবনে ব্যর্থ হয়? মেধার অভাবে? টাকার অভাবে? সুযোগের অভাবে? না। মানুষ ব্যর্থ হয় ধারাবাহিকতার অভাবে

একটু ভেবে দেখুন। প্রতি বছর ৩১শে ডিসেম্বর রাতে আমরা প্রতিজ্ঞা করি—”নতুন বছরে আমি বদলে যাব”। আমরা জিমের মেম্বারশিপ নিই, নতুন ডায়েরি কিনি, স্পোকেন ইংলিশ কোর্সে ভর্তি হই। আমাদের মোটিভেশন তখন থাকে ১০০ তে ১০০। কিন্তু জানুয়ারির ৭ তারিখ আসতে না আসতেই সেই জোশ কোথায় হারিয়ে যায়? জিমের জুতোয় ধুলো জমে, কোর্সের ভিডিও দেখা বন্ধ হয়ে যায়। আমরা আবার আমাদের পুরনো, অলস, এবং অগোছালো জীবনে ফিরে যাই।

একে বলা হয় “লুপ অফ ফেইলার” (Loop of Failure)

যতক্ষণ না আপনি আপনার অবচেতন মন বা সাবকনশাস মাইন্ডকে (Subconscious Mind) রি-প্রোগ্রাম করছেন, ততক্ষণ পৃথিবীর সেরা হার্ভার্ড বা অক্সফোর্ডের কোর্সও আপনাকে বাঁচাতে পারবে না। কারণ সমস্যা আপনার রিসোর্সে নয়, সমস্যা আপনার “অপারেটিং সিস্টেমে”।

কেন আমরা হাল ছেড়ে দিই?

আমরা মনে করি সাফল্য হলো একটি সরলরেখা (Linear)। আমি আজ ১০ মিনিট পড়ব, কাল আমি একটু বেশি জানব। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। জেমস ক্লিয়ার একে বলেছেন “Plateau of Latent Potential”

যখন আপনি কোনো নতুন কাজ শুরু করেন, প্রথম কয়েক সপ্তাহ বা মাস আপনি কোনো রেজাল্টই দেখবেন না। মনে হবে আপনি এক জায়গায় আটকে আছেন। ঠিক এই সময়টাতেই ৯৯% মানুষ হাল ছেড়ে দেয়। তারা ভাবে, “এত কষ্ট করছি, লাভ তো কিছু হচ্ছে না।” কিন্তু যারা ওই বোরিং সময়টা কামড়ে পড়ে থাকে, তারাই হঠাৎ করে একদিন বিশাল সাফল্য পায়। যাকে আমরা বলি “ওভারনাইট সাকসেস”। আসলে ওভারনাইট কিছু নেই, ওই অদৃশ্য পরিশ্রমটাই একদিন দৃশ্যমান হয়।

সমাধান: বই – ‘অ্যাটমিক হ্যাবিটস’

জেমস ক্লিয়ারের লেখা এই বইটি কেবল একটি বই নয়, এটি মানুষের আচরণের ওপর লেখা এ যাবৎকালের সবচেয়ে শক্তিশালী গবেষণা। এই বইটি পড়ার আগে আমি ভাবতাম “আমার ইচ্ছাশক্তি কম”। পড়ার পর বুঝলাম, সমস্যা ইচ্ছাশক্তিতে নয়, সমস্যা আমার “সিস্টেমে”।

বইয়ের ৪টি অমোঘ সূত্র যা আপনার ডিএনএ বদলে দেবে:

১. Make it Obvious (এটাকে স্পষ্ট করুন)

আপনি যদি বই পড়ার অভ্যাস করতে চান, তবে বইটা ড্রয়ারে লুকিয়ে রাখবেন না। বইটা বালিশের ওপর রাখুন। আপনি যদি পানি খাওয়া বাড়াতে চান, তবে পানির বোতলটা চোখের সামনে রাখুন। আপনার পরিবেশকে এমনভাবে ডিজাইন করুন যেন ভালো কাজটা করা সহজ হয়।

২. Make it Attractive (আকর্ষণীয় করুন) – টেম্পটেশন বান্ডলিং

যে কাজটি করতে ভালো লাগে না (যেমন: এক্সেল প্র্যাকটিস করা), সেটিকে এমন কিছুর সাথে জুড়ে দিন যা করতে ভালো লাগে (যেমন: কফি খাওয়া বা গান শোনা)। নিজেকে বলুন, “আমি ১ ঘণ্টা পড়ার পরই কেবল নেটফ্লিক্স দেখব।”

৩. Make it Easy (সহজ করুন) – ২ মিনিটের রুল

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রুল। নতুন কোনো অভ্যাস শুরু করতে গেলে আমরা বড় টার্গেট নিই। “আমি কাল থেকে ১ ঘণ্টা পড়ব।” এটা ভুল। টার্গেট নিন—”আমি কাল মাত্র ২ পৃষ্ঠা পড়ব।” বা “আমি মাত্র ২ মিনিট ব্যায়াম করব।” কেন? কারণ কাজ শুরু করাটাই সবচেয়ে কঠিন। একবার ২ মিনিটের জন্য জুতো পরে মাঠে নামলে, আপনি ২০ মিনিট দৌড়াবেনই। শুরুটাকে সহজ করুন।

৪. Make it Satisfying (তৃপ্তিদায়ক করুন)

আমাদের মস্তিষ্ক তাৎক্ষণিক পুরস্কার খোঁজে। পড়ার পর নিজেকে ছোট কোনো রিওয়ার্ড দিন। ক্যালেন্ডারে একটা বড় লাল ক্রস (X) দিন। যখন আপনি দেখবেন ক্যালেন্ডারে টানা ১০টা ক্রস পড়েছে, তখন ১১তম দিনে আপনি আর চেইনটা ভাঙতে চাইবেন না। একে বলা হয় “Don’t Break the Chain” মেথড।

কেন আপনাকে এই বইটির হার্ডকপি কিনতেই হবে? অনেকে বলবেন, “ভাই পিডিএফ আছে তো”। বিশ্বাস করুন, পিডিএফ পড়ে কারো জীবন বদলায় না। পিডিএফ হলো তথ্যের ডাস্টবিন। এই বইটিতে এমন কিছু ওয়ার্কশিট, চার্ট এবং গ্রাফ আছে যা আপনাকে পেন্সিল দিয়ে দাগিয়ে পড়তে হবে। যখন আপনি নিজের হাতে বইটা ধরবেন, আপনার ব্রেন সিগন্যাল পাবে যে আপনি এই পরিবর্তনের ব্যাপারে সিরিয়াস।

ইংরেজি শুধু ভাষা নয়, এটি একটি কারেন্সি (English Skills)

আসুন একটু নিষ্ঠুর সত্যের মুখোমুখি হই। বাংলাদেশে আপনি যতই মেধাবী হন, আপনার সিজিপিএ যতই ৪.০০ হোক, যদি আপনি স্মার্টলি ইংরেজিতে কথা বলতে না পারেন, তবে আপনাকে কেউ “স্মার্ট” ভাববে না।

ইন্টারভিউ বোর্ডে ঢোকার পর প্রথম ৩ মিনিটে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় আপনাকে চাকরিটা দেওয়া হবে কি না। যে ছেলেটি ফ্লুয়েন্টলি ইংরেজিতে নিজেকে ইন্ট্রোডিউস করে, বডি ল্যাঙ্গুয়েজ কনফিডেন্ট রাখে, সে শুরুতেই ৫০% এগিয়ে থাকে। আর যে তোতলায়, সে যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও রিজেক্টেড হয়।

আর যদি আপনার স্বপ্ন থাকে ফ্রিল্যান্সিং বা রিমোট জব করার, তবে ইংরেজি হলো আপনার অক্সিজেন। আমেরিকার বা ইউরোপের ক্লায়েন্ট আপনার সার্টিফিকেট দেখবে না। তারা দেখবে আপনি তাদের রিকোয়ারমেন্ট বুঝতে পারছেন কিনা এবং বুঝিয়ে বলতে পারছেন কিনা।

ইউটিউব বনাম পেইড কোর্স: কেন আপনি ইউটিউব দেখে শিখতে পারছেন না?

আপনি হয়তো ভাবছেন, “ইউটিউবে তো হাজার হাজার ফ্রি ভিডিও আছে, টাকা দিয়ে কোর্স কেন কিনব?” ঠিক এখানেই আপনি ভুল করছেন। এবং এই ভুলের কারণেই গত ৩ বছর ধরে আপনি ইংরেজি শিখছেন কিন্তু বলতে পারছেন না।

  • ইউটিউব (The Ocean of Chaos): এখানে কন্টেন্ট আছে, কিন্তু স্ট্রাকচার নেই। আপনি আজ ভিডিও ১ দেখবেন, কাল ভিডিও ১০ দেখবেন। মাঝখানের গ্যাপগুলো থেকে যাবে। ইউটিউব আপনাকে “তথ্য” দেয়, কিন্তু “গাইডলাইন” দেয় না। আপনি বিভ্রান্ত হয়ে যাবেন।
  • পেইড কোর্স (The Structured Path): এখানে আপনাকে হাত ধরে স্টেপ-বাই-স্টেপ শেখানো হয়। এ-র পর বি, বি-র পর সি। তাছাড়া, যখন আপনি পকেট থেকে টাকা খরচ করবেন, তখন আপনার ব্রেনে একটা “Pain of Paying” কাজ করবে। এই মেন্টাল প্রেশারটাই আপনাকে কোর্স শেষ করতে বাধ্য করবে। এই অ্যাকাউন্টেবিলিটি ফ্রি জিনিসে পাওয়া যায় না।

সমাধান: কোর্স – ‘ঘরে বসে Spoken English’ (১০ মিনিট স্কুল)

মুনজেরিন শহীদের এই কোর্সটি লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন বদলে দিয়েছে। কেন? কারণ এটি প্রথাগত “টেন্স শেখার বোরিং ক্লাস” নয়। এটি ডিজাইন করা হয়েছে আমাদের মতো বাঙালিদের সাইকোলজি মাথায় রেখে।

কোর্সটির ভেতরের গোপন মসলা (Inside the Course):

  • মডিউল ১: পরিচয়ের জড়তা ভাঙা (Breaking the Ice): কীভাবে অপরিচিত মানুষের সাথে কথা শুরু করবেন? (Small Talk)। কীভাবে “How are you?” এর উত্তরে “I am fine” না বলে আরও স্মার্ট কিছু বলবে।
  • মডিউল ২: পেশাদার জগত (Professional Mastery): বসের সাথে ছুটি চাইবেন কীভাবে? মিটিংয়ে দ্বিমত পোষণ করবেন কীভাবে? প্রেজেন্টেশন শুরু করবেন কীভাবে? ইমেইল লিখবেন কীভাবে?
  • মডিউল ৩: দৈনন্দিন জীবন (Survival English): শপিং মলে বার্গেনিং করা, হাসপাতালে ডাক্তারের সাথে কথা বলা, বা এয়ারপোর্টে ইমিগ্রেশন পার করা।
  • উচ্চারণ হ্যাকস (Accent Training): কীভাবে বাঙালিদের মতো ফ্ল্যাট ইংলিশ না বলে, সঠিক ইন্টোনেশন (Intonation) ব্যবহার করে ব্রিটিশ বা আমেরিকানদের মতো স্মার্টলি কথা বলবেন।

কাদের জন্য এই কোর্সটি অপরিহার্য?

  • যারা ইন্টারভিউতে গিয়ে তোতলামি করেন বা ব্ল্যাঙ্ক হয়ে যান।
  • যারা অফিসে কলিগদের সামনে ইংরেজিতে কথা বলতে লজ্জা পান।
  • যারা আইইএলটিএস (IELTS) করার কথা ভাবছেন কিন্তু বেসিক এতই দুর্বল যে কোচিংয়ে যেতে ভয় পাচ্ছেন।

টাকা আয় করার চেয়েও জরুরি টাকা ধরে রাখা

আমাদের স্কুল-কলেজে ১২-১৬ বছর পড়াশোনা করানো হয়। আমরা শিখি কীভাবে যুদ্ধ হয়েছে, কীভাবে কেমিক্যাল রিঅ্যাকশন হয়, কীভাবে কবিতা লিখতে হয়। কিন্তু জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি—“টাকা কীভাবে ম্যানেজ করতে হয়”—তা আমাদের একটিবারও শেখানো হয় না।

ফলে আমরা বড় বড় ডিগ্রি নিয়ে বের হই, চাকরি করি, আর মাস শেষে হা-হুতাশ করি। আমরা জানি না ইনফ্লেশন বা মুদ্রাস্ফীতি কীভাবে আমাদের জমানো টাকা খেয়ে ফেলছে। আমরা ভাবি বেশি বেতন পেলেই সব সমস্যা মিটে যাবে, কিন্তু দেখা যায় বেতন বাড়লে খরচও বাড়ে, মাস শেষে সেই শূন্য পকেটই থাকে।

অন্যান্য দেশের ফাইন্যান্স বইগুলো (যেমন: রিচ ড্যাড পুওর ড্যাড) আমেরিকার রিয়েল এস্টেট বা ট্যাক্স সিস্টেম নিয়ে কথা বলে, যা বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের জন্য প্রয়োগ করা কঠিন। তাই আমাদের দরকার এমন কিছু যা আমাদের আচরণের সাথে মেলে।

সমাধান: বই – ‘দ্য সাইকোলজি অফ মানি’

মর্গ্যান হাউজেলের এই বইটি বর্তমানে বিশ্বজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে এবং এর বাংলা অনুবাদ রকমারিতে বেস্ট সেলার। কেন? কারণ এটি কোনো জটিল ফিন্যান্স বই নয়, এটি টাকা এবং মানুষের আচরণ (Behavior) নিয়ে লেখা। এটি বাংলাদেশের মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্যও ১০০% প্রযোজ্য।

বইটি আপনাকে যে ৩টি কঠিন সত্য শেখাবে:

১. ধনী হওয়া বনাম ধনী থাকা

টাকা কামানো কঠিন হতে পারে, কিন্তু টাকা ধরে রাখা আরও কঠিন। আমরা ভাবি বড়লোকি মানে হলো দামী গাড়ি বা আইফোন দেখানো। লেখক বলছেন, “Wealth is what you don’t see.” সম্পদ হলো সেই টাকা যা আপনি খরচ করেননি। বাংলাদেশে আমরা ‘Rich’ (বড়লোক) হতে চাই মানুষকে দেখানোর জন্য, কিন্তু আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত ‘Wealthy’ (সম্পদশালী) হওয়া, যাতে বিপদের সময় কারোর কাছে হাত পাততে না হয়।

২. কম্পাউন্ডিংয়ের জাদু

ওয়ারেন বাফেট এত ধনী কেন? কারণ তিনি ১০ বছর বয়স থেকে বিনিয়োগ শুরু করেছেন। আপনি যদি আজ থেকে প্রতি মাসে ১০০০ টাকাও জমান এবং সেটা সঠিক জায়গায় (যেমন: সঞ্চয়পত্র বা ভালো ফাণ্ডে) রাখেন, ২০ বছর পর সেটা বিশাল অঙ্ক হবে। বইটি শেখাবে—তাড়াহুড়ো করে বড়লোক হওয়ার চেষ্টা করবেন না, ধৈর্য ধরুন।

৩. যুক্তির চেয়ে আবেগ বড়

টাকা পয়সার ব্যাপারে আমরা সবসময় লজিক দিয়ে চলি না, ইমোশন দিয়ে চলি। কেন আমরা রিস্কি ব্যবসায় টাকা দিই? কেন আমরা অপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনি? এই বইটি আপনার নিজের সাইকোলজি বুঝতে সাহায্য করবে, যাতে আপনি ভুল সিদ্ধান্ত না নেন।

কেন এই বইটি আপনার পড়া জরুরি? ২০২৬ সালের অনিশ্চিত অর্থনীতিতে টিকে থাকতে হলে আপনাকে জানতে হবে কখন রিস্ক নিতে হবে আর কখন সেফ খেলতে হবে। এই বইটি আপনাকে শেখাবে কীভাবে টাকার টেনশন কমিয়ে শান্তিতে ঘুমানো যায়।

ডিজিটাল যুগের তরবারি – এক্সেল এবং পাওয়ারপয়েন্ট (The Hard Skills)

আপনি হয়তো ভাবছেন, “ভাইয়া, আমি তো আইটি বা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়িনি, টেকনোলজি আমার জন্য না। আমি আর্টসের স্টুডেন্ট।” ভুল! মারাত্মক ভুল!

এখন এইচ আর (HR), মার্কেটিং, সেলস, সাপ্লাই চেইন, এমনকী শিক্ষকতার চাকরিতেও ডাটা অ্যানালাইসিস লাগে। আপনার বস আপনাকে বলবে না “খাতায় লিখে আনো”, বস বলবে “এক্সেল শিটটা মেইল করো”।

অধিকাংশ ফ্রেশারদের সিভি রিজেক্ট হয় শুধু এই কারণে যে, তারা এমএস অফিস (MS Office) জানে না। তারা সিভিতে লিখে দেয় “MS Word, Excel: Expert”। কিন্তু ইন্টারভিউতে গিয়ে যখন একটি সাধারণ VLOOKUP বা Pivot Table করতে দেওয়া হয়, তখন তারা মাউস খুঁজে পায় না। ঘামতে শুরু করে।

এক্সেল: কর্পোরেট দুনিয়ার ম্যাজিক ল্যাম্প

এক্সেল শুধু যোগ-বিয়োগ করার ক্যালকুলেটর নয়। এটি বিজনেস ডিসিশন মেকিং টুল।

  • VLOOKUP/XLOOKUP: হাজার হাজার ডাটা থেকে ১ সেকেন্ডে নির্দিষ্ট তথ্য বের করা।
  • Pivot Table: বিশাল ডাটাবেসকে ছোট এবং মিনিংফুল রিপোর্টে পরিণত করা। বসরা এটা ভালোবাসে।
  • Conditional Formatting: ডাটার প্যাটার্ন বা ভুলগুলো কালার করে বের করা।

আপনি যদি এই ৩টি জিনিস পারেন, তবে আপনি আপনার অফিসের ৯০% কলিগদের চেয়ে এগিয়ে থাকবেন। আপনি হবেন অফিসের “গো-টু পারসন” (Go-to person)।

সমাধান: কোর্স – ‘Excel for Corporate’ + ‘PowerPoint Presentation’

১০ মিনিট স্কুলের এই কম্বো বা আলাদা কোর্সগুলো এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যে, আপনি একদম শূন্য থেকে শুরু করে অ্যাডভান্সড লেভেল পর্যন্ত শিখতে পারবেন।

কেন এই কোর্সটি অনন্য? ১. প্রজেক্ট ভিত্তিক শিক্ষা: এখানে শুধু অপশন শেখানো হয় না। “স্যালারি শিট তৈরি”, “ইনভেন্টরি ম্যানেজমেন্ট”, “সেলস ড্যাশবোর্ড তৈরি”—এমন রিয়েল লাইফ প্রজেক্ট করে দেখানো হয়। যা আপনি সরাসরি অফিসে অ্যাপ্লাই করতে পারবেন। ২. শর্টকাট মাস্টারি: মাউস ছাড়া কি-বোর্ড দিয়ে কীভাবে ঝড়ের গতিতে কাজ করবেন, সেই নিনজা টেকনিকগুলো শেখানো হয়। এক্সপার্টরা মাউস ধরে না। ৩. প্রেজেন্টেশন হ্যাকস: পাওয়ারপয়েন্ট দিয়ে যে এনিমেশন বা ভিডিও বানানো যায়, তা অনেকেই জানে না। স্লাইড শুধু রিডিং পড়ার জন্য নয়। স্লাইড হতে হবে ভিজ্যুয়াল স্টোরিটেলিং। আপনার প্রেজেন্টেশন দেখে যেন ক্লায়েন্ট বা বস “ওয়াও” বলে—সেটাই এই কোর্সের লক্ষ্য।

অ্যাকশন প্ল্যান: প্রতিদিন মাত্র ৩০ মিনিট সময় দিন। ভিডিও দেখুন এবং সাথে সাথে পিসিতে প্র্যাকটিস করুন। ১ মাস পর আপনার কনফিডেন্স দেখে আপনি নিজেই অবাক হবেন। সার্টিফিকেটটি লিংকডইনে শেয়ার করলে রিক্রুটারদের নজর কাড়বে।

সোশাল ইঞ্জিনিয়ারিং ও নেটওয়ার্কিং – আপনার নেটওয়ার্কই আপনার নেট-ওয়ার্থ

পৃথিবীতে এমন অনেক উদাহরণ আছে যেখানে কম যোগ্যতাসম্পন্ন মানুষ শুধু ভালো ব্যবহারের কারণে সিইও (CEO) বা বড় পজিশনে আছে। আবার অনেক গোল্ড মেডেলিস্ট মেধাবী মানুষ শুধু ব্যবহারের কারণে ক্যারিয়ারে এগোতে পারেনি।

২০২৬ সালে এ আই যখন টেকনিক্যাল কাজগুলো (যেমন: কোডিং, ড্রাফটিং) করে দেবে, তখন মানুষের একমাত্র ইউনিক পাওয়ার হবে “ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স” বা মানুষের সাথে মেশার ক্ষমতা। এ আই কোড লিখতে পারে, কিন্তু এ আই ক্লায়েন্টের সাথে ডিনার করে ডিল ক্লোজ করতে পারে না।

আমরা ভাবি নেটওয়ার্কিং মানে স্বার্থপরের মতো কার্ড বিলি করা বা “তেল মারা”। আসলে নেটওয়ার্কিং মানে সম্পর্ক তৈরি করা। আপনি কীভাবে একজনকে নিজের প্রতি আগ্রহী করবেন, কীভাবে তর্ক না করে মানুষকে কনভেন্স করবেন—এটা একটা আর্ট।

সমাধান: বই – ‘হাউ টু উইন ফ্রেন্ডস অ্যান্ড ইনফ্লুয়েন্স পিপল’ (Dale Carnegie)

এটি এমন একটি বই যা ওয়ারেন বাফেট থেকে শুরু করে পৃথিবীর সেরা সিইও-রা রিকমেন্ড করেন। ডেল কার্নেগির এই বইটি মানুষের মনস্তত্ত্ব নিয়ে লেখা বাইবেল।

বইটি পড়ার পর আপনি যা শিখবেন:

  • নামের জাদু: মানুষের কাছে তার নিজের নামটা পৃথিবীর সবচেয়ে মধুর শব্দ। এটি ব্যবহার করে কীভাবে কাজ আদায় করবেন।
  • তর্ক নয়, সমাধান: বইতে একটি লাইন আছে—”তর্কে জিতে আপনি আসলে হেরে যান, কারণ আপনি অপরপক্ষের ইগোতে আঘাত করেন।” কীভাবে তর্কে না জড়িয়ে নিজের মত প্রতিষ্ঠা করবেন।
  • প্রশংসার শক্তি: তোষামোদ নয়, কীভাবে জেনুইন প্রশংসা করে শত্রুকেও বন্ধু বানাবেন।

বোনাস টিপ: এই বইয়ের টেকনিকগুলো শুধু অফিসে নয়, আপনার ব্যক্তিগত জীবনেও শান্তি বয়ে আনবে। স্বামী-স্ত্রী, বন্ধু-বান্ধব বা বাবা-মায়ের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নেও এটি জাদুর মতো কাজ করে।

ফোকাস এবং ডিপ ওয়ার্ক – এই বিক্ষিপ্ত পৃথিবীতে মনোযোগ ধরে রাখার শিল্প

আমরা এমন এক যুগে বাস করছি যেখানে আমাদের মনোযোগ বিক্রি হয়। একে বলা হয় “Attention Economy”। ফেসবুক, টিকটক, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব—সবাই যুদ্ধ করছে আপনার একটু মনোযোগ পাওয়ার জন্য। নোটিফিকেশনের শব্দে আমরা প্রতি ৩ মিনিটে একবার ফোন চেক করি। আমাদের অবস্থা হয়েছে ড্রাগ এডিক্টদের মতো।

গবেষণায় দেখা গেছে, একবার কাজের মাঝখানে মনোযোগ ভাঙলে আবার গভীর মনোযোগে ফিরতে গড়ে ২৩ মিনিট সময় লাগে। তাহলে ভাবুন, সারাদিনে আপনি আসলে কতটুকু কাজ করছেন?

২০২৬ সালে “ডিপ ওয়ার্ক” (Deep Work) বা টানা ২-৩ ঘণ্টা মনোযোগ দিয়ে কাজ করার ক্ষমতা হবে সুপারপাওয়ার। যার এই ক্ষমতা থাকবে, সে অন্যদের চেয়ে ১০ গুণ বেশি উৎপাদনশীল হবে।

পরিবেশ এবং মনস্তত্ত্ব

ফোকাস কোনো জাদু নয়, এটি পরিবেশের ব্যাপার। আপনার রুম যদি অগোছালো থাকে, লাইট কম থাকে, এবং চোখের সামনে ফোন থাকে—তবে ফোকাস আসবে না।

সমাধান: গ্যাজেট ও বইয়ের কম্বিনেশন

১. বই – ‘ইকিগাই’ (Ikigai): দীর্ঘ ও সুখী জীবনের জাপানি রহস্য

জাপানের ওকিনাওয়া দ্বীপের মানুষ ১০০ বছরের বেশি বাঁচে এবং তারা জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত কাজ করে। তাদের রহস্য কী? তাদের রহস্য হলো ‘ইকিগাই’—বেঁচে থাকার উদ্দেশ্য।

আমরা সারাদিন দৌড়াই—টাকার পেছনে, ক্যারিয়ারের পেছনে। কিন্তু জানি না কেন দৌড়াচ্ছি। এই বইটি আপনাকে থামতে শেখাবে। এটি আপনাকে শেখাবে:

  • কীভাবে ছোট ছোট কাজে আনন্দ খুঁজে পেতে হয়।
  • কীভাবে তাড়াহুড়ো না করে ধীরস্থিরভাবে কাজ করতে হয় (Slow Living)।
  • কীভাবে স্ট্রেস বা ডিপ্রেশন কমাতে হয়।

মানসিক প্রশান্তি ছাড়া ক্যারিয়ারের সাফল্য অর্থহীন। এই বইটি আপনার আত্মার খোরাক।

২. গ্যাজেট – রিচার্জেবল আই-প্রোটেকশন ডেস্ক ল্যাম্প

আপনার পড়ার টেবিলটি কি আপনাকে টানে? নাকি বসলেই ঘুম পায়? আলোর তাপমাত্রা (Color Temperature) আমাদের মুড নিয়ন্ত্রণ করে। পড়ার জন্য ওয়ার্ম হোয়াইট (Warm White) বা ডে-লাইট দরকার। টিউবলাইটের আলো অনেক সময় চোখের জন্য কড়া হয় এবং ছায়া ফেলে।

একটি ভালো মানের রিচার্জেবল ল্যাম্প আপনার ফোকাস বাড়াতে সাহায্য করে।

  • ফোকাস জোন: যখন আপনি রুমের সব লাইট নিভিয়ে শুধু টেবিল ল্যাম্প জ্বালিয়ে পড়েন, তখন আপনার ব্রেন সংকেত পায়—”এখন শুধু পড়ার সময়”। আশেপাশে সব অন্ধকার থাকায় মনোযোগ বিক্ষিপ্ত হয় না।
  • চোখের সুরক্ষা: দীর্ঘক্ষণ পড়ার জন্য বা ল্যাপটপে কাজ করার জন্য অ্যান্টি-ব্লু লাইট ল্যাম্প জরুরি।
  • লোডশেডিং সলিউশন: বাংলাদেশে লোডশেডিং খুব স্বাভাবিক। রিচার্জেবল ল্যাম্প থাকলে আপনার পড়ার ফ্লো নষ্ট হবে না।

অধ্যায় ৭: আপনার আগামী ৬ মাসের মাস্টারপ্ল্যান (Action Plan)

পড়া শেষ। এবার আসল কাজ। এতগুলো তথ্য হয়তো আপনার মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে। “কোথা থেকে শুরু করব?”—এই চিন্তায় আপনি হয়তো কিছুই শুরু করবেন না।

চিন্তার কিছু নেই। অন্বেষণ টিম আপনার জন্য একটি স্টেপ-বাই-স্টেপ রুটিন করে দিচ্ছে। আপনি শুধু অন্ধের মতো এটি ফলো করুন।

মাস ১: ভিত্তি গড়া (Foundation) – হ্যাবিট ও ভাষা

  • সকালে: ঘুম থেকে উঠে ফোন না ধরে ১০ মিনিট ‘অ্যাটমিক হ্যাবিটস’ পড়ুন। এক কাপ চা/কফি খান।
  • রাতে: ১০ মিনিট স্কুলের ‘স্পোকেন ইংলিশ’ কোর্সের মাত্র ১টি ভিডিও দেখুন। ভিডিও শেষে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে ৫ মিনিট প্র্যাকটিস করুন।
  • লাইফস্টাইল: ফোনের নোটিফিকেশন বন্ধ রাখুন। সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার দিনে ১ ঘণ্টায় নামিয়ে আনুন।

মাস ২-৩: স্কিল ডেভেলপমেন্ট (Skill Up) – হার্ড স্কিল ও মাইন্ডসেট

  • সকালে: ‘দ্য সাইকোলজি অফ মানি’ পড়া শুরু করুন। টাকার প্রতি আপনার দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে থাকবে।
  • সাপ্তাহিক ছুটির দিনে (শুক্র-শনি): এক্সেল (Excel) বা পাওয়ারপয়েন্ট কোর্সের প্রজেক্টগুলো প্র্যাকটিস করুন। একটা স্যালারি শিট বা বাজারের লিস্ট এক্সেলে বানান।
  • চ্যালেঞ্জ: ফেসবুকে ছোট ছোট স্ট্যাটাস ইংরেজিতে লেখা শুরু করুন। ভুল হোক, লোকে হাসুক, থামবেন না।

মাস ৪-৬: নেটওয়ার্কিং ও এক্সপ্যানশন (Expand) – সম্পর্ক ও ফোকাস

  • বই: ‘হাউ টু উইন ফ্রেন্ডস’ পড়ুন এবং অফিসে বা ক্লাসে সেই টেকনিক প্রয়োগ করুন। কারো সাথে দেখা হলে হাসিমুখে কথা বলুন, তার নাম ধরে সম্বোধন করুন।
  • লিংকডইন: আপনার নতুন শেখা স্কিলগুলো (Excel, English) লিংকডইনে আপডেট করুন। সার্টিফিকেট পোস্ট করুন।
  • গ্যাজেট: পড়ার পরিবেশ উন্নত করতে ল্যাম্প বা ভালো চেয়ার কিনুন। নিজেকে রিওয়ার্ড দিন।

সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন (FAQ) – আপনার মনের সব প্রশ্নের উত্তর

আমরা জানি, সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আপনার মনে অনেক প্রশ্ন জাগছে। চলুন সেগুলোর উত্তর দিই:

প্রশ্ন ১: ভাইয়া, আমার কাছে এখন টাকা নেই। আমি কি ফ্রি রিসোর্স দিয়ে শিখতে পারব না? উত্তর: অবশ্যই পারবেন। কিন্তু প্রশ্ন হলো—আপনার কাছে কি “সময়” আছে? ফ্রি রিসোর্স খুঁজে বের করতে, কোনটা ভালো কোনটা খারাপ যাচাই করতে এবং গুছিয়ে শিখতে আপনার যে সময় লাগবে, পেইড কোর্সে তা অর্ধেক সময়ে শিখতে পারবেন। সময়ও কিন্তু টাকা। আর ৪০০-৫০০ টাকা খরচ করে যদি জীবন বদলানো যায়, তবে সেটা খরচ নয়, সেটা ইনভেস্টমেন্ট। বন্ধুরা মিলে একদিন রেস্টুরেন্টে খেলেই তো ১০০০ টাকা শেষ হয়ে যায়।

প্রশ্ন ২: ১০ মিনিট স্কুলের সার্টিফিকেট কি চাকরির ক্ষেত্রে কাজে লাগে? উত্তর: সোজাসাপ্টা বলি—সার্টিফিকেট আপনাকে চাকরি দেবে না, স্কিল দেবে। তবে ১০ মিনিট স্কুলের সার্টিফিকেটের একটি ব্র্যান্ড ভ্যালু আছে। এটি যখন রিক্রুটার আপনার সিভিতে দেখবে, সে বুঝবে আপনি শেখার প্রতি আগ্রহী (Self-learner)। এটি আপনাকে ইন্টারভিউতে পজিটিভ ইম্প্রেশন দেবে।

প্রশ্ন ৩: আমি সাইন্সের স্টুডেন্ট না, এক্সেল কি আমার জন্য কঠিন হবে? উত্তর: একদমই না। এক্সেল শেখার জন্য ম্যাথমেটিশিয়ান হওয়ার দরকার নেই। সাধারণ যোগ-বিয়োগ-গুণ-ভাগ জানলেই চলে। কোর্সে একদম বেসিক থেকে দেখানো হয়েছে। ক্লাস সিক্সের বাচ্চাও এটা বুঝবে।

প্রশ্ন ৪: বইগুলোর বাংলা অনুবাদ কি ভালো হবে? নাকি ইংরেজি পড়ব? উত্তর: আপনার যদি ইংরেজিতে পড়ার অভ্যাস থাকে তবে মূল বই পড়া সবসময়ই ভালো। কিন্তু যদি অভ্যাস না থাকে, তবে রকমারির বাংলা অনুবাদগুলো দারুণ। ‘অন্বেষণ’ টিম বাতিঘর বা গার্ডিয়ান পাবলিকেশনের অনুবাদগুলো সাজেস্ট করে, কারণ তাদের মান অনেক ভালো।

প্রশ্ন ৫: পেমেন্ট করার পর কি বই বা কোর্স সাথে সাথে পাব? উত্তর: কোর্স কেনার সাথে সাথেই আপনি অ্যাপ বা ওয়েবসাইটে এক্সেস পেয়ে যাবেন। আর রকমারি থেকে বই অর্ডার করলে সাধারণত ২-৪ দিনের মধ্যে হোম ডেলিভারি পেয়ে যাবেন। ক্যাশ অন ডেলিভারির সুবিধাও আছে।

শেষ কথা: সিদ্ধান্ত আপনার, আফসোস বা সাফল্যও আপনার

আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য আপনাকে অভিনন্দন। এর মানে হলো আপনি নিজেকে বদলাতে চান। আপনার মধ্যে সেই স্পার্ক আছে।

কিন্তু সমস্যা হলো, এই আর্টিকেলটি পড়ার পর ৯৯% মানুষ ট্যাব ক্লোজ করে আবার ফেসবুকে স্ক্রলিং শুরু করবে। তারা ভাববে “লেখাটা ভালো, পরে দেখব”। সেই “পরে” আর কোনোদিন আসে না।

আর মাত্র ১% মানুষ—হয়তো আপনি—আজকেই নিচের লিংকে ক্লিক করে বইটি অর্ডার করবেন বা কোর্সটিতে ভর্তি হবেন। বিশ্বাস করুন, এই ছোট “অ্যাকশন”টাই ১ বছর পর আপনাকে বাকি ৯৯% মানুষের চেয়ে আলাদা করে দেবে।

২০২৬ সালে আপনি নিজেকে কোথায় দেখতে চান? বসের বকুনি খাওয়া হতাশ এমপ্লয়ি হিসেবে? নাকি স্কিলড, কনফিডেন্ট এবং ফিন্যান্সিয়ালি ফ্রি মানুষ হিসেবে?

চাবি এখন আপনার হাতে। দরজাটা খুলবে কি না, সেটা আপনার ব্যাপার।

Hello world!

Welcome to WordPress. This is your first post. Edit or delete it, then start writing!