এই লেখাটি শুধুমাত্র তাদের জন্য যারা এইচএসসিতে গোল্ডেন এ-প্লাস এবং এডমিশনে টপ র্যাংক করার স্বপ্ন দেখে। যারা “কোনোরকম পাস” করতে চায়, এই লেখাটি তাদের জন্য নয়।
প্রিয় HSC 2027 ব্যাচের শিক্ষার্থী বন্ধুরা,
তোমাকে অভিনন্দন! জীবনের একটি কঠিন ধাপ, এসএসসি পরীক্ষার গণ্ডি পেরিয়ে তুমি এখন কলেজ জীবনের দোরগোড়ায়। স্কুল জীবনের সেই চেনা ইউনিফর্ম, চেনা ক্লাসরুম আর চেনা সিলেবাসের গণ্ডি পেরিয়ে তুমি এখন এমন এক জগতে প্রবেশ করতে যাচ্ছ, যা তোমার ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে দেবে।
একজন বড় ভাই হিসেবে আমি তোমাকে একটা নির্মম সত্য কথা বলি। প্রতি বছর এইচএসসি পরীক্ষার রেজাল্টের দিন দেখবে, এসএসসিতে গোল্ডেন এ-প্লাস পাওয়া হাজার হাজার ছেলেমেয়ে এইচএসসিতে জিপিএ-৫ মিস করেছে। আবার এসএসসিতে সাধারণ রেজাল্ট করা অনেকে এইচএসসিতে বাজিমাৎ করে বুয়েট-মেডিকেলে চান্স পেয়েছে।
কেন এমন হয়? কারণ, এইচএসসির সিলেবাস এসএসসির তুলনায় আকাশ-পাতাল তফাত। স্কুলের দুই বছরে তুমি পদার্থবিজ্ঞানে যা পড়েছ, কলেজে ওঠার পর দেখবে শুধু ভেক্টর অধ্যায়েই তার চেয়ে বেশি কনসেপ্ট আছে। রসায়নের বিক্রিয়া, উচ্চতর গণিতের ক্যালকুলাস আর জীববিজ্ঞানের বিশাল তথ্যভাণ্ডার—সব মিলিয়ে এই সময়টা সায়েন্সের স্টুডেন্টদের জন্য এক বিশাল চ্যালেঞ্জ।
অনেকেই বলে, “এসএসসিতে এ-প্লাস পাওয়া সহজ, কিন্তু এইচএসসিতে পাস করাই কঠিন।” কথাটা শুনে হয়তো তোমার ভয় লাগছে। কিন্তু ভয় পাওয়ার কিছু নেই। এই চ্যালেঞ্জ তোমাকে তৈরি করার জন্য। আগামী দুই বছর তুমি কীভাবে সময় কাটাবে, তার ওপর নির্ভর করবে তুমি ভবিষ্যতে সাদা অ্যাপ্রন পরে স্টেথোস্কোপ গলায় ঝুলাবে, নাকি বুয়েটের ল্যাবে বসে নতুন কিছু আবিষ্কার করবে, নাকি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লাল বাসে চড়বে।
কিন্তু সমস্যা হলো, সঠিক গাইডলাইনের অভাবে হাজার হাজার মেধাবী মুখ কলেজ লাইফের শুরুতেই খেই হারিয়ে ফেলে। কেউ কঠিন সিলেবাস দেখে হতাশ হয়ে পড়ে, কেউ বা ঢাকার জ্যামে আটকে কোচিংয়ে দৌড়াতে দৌড়াতে ক্লান্ত হয়ে যায়।
ঠিক এই জায়গাতেই তোমার প্রয়োজন একটি স্মার্ট সিদ্ধান্তের। আর সেই সিদ্ধান্তটি হতে পারে টেন মিনিট স্কুলের “HSC 27 Online Batch (Science)”। আমি ব্যক্তিগতভাবে এই কোর্সটির কারিকুলাম, ফিচার এবং স্টুডেন্ট ফিডব্যাক এনালাইসিস করে দেখেছি। কেন আমি মনে করি এটি বর্তমান সময়ের সেরা ইনভেস্টমেন্ট, তা আজ তোমাদের সামনে তুলে ধরব।
এইচএসসি লাইফ – কেন এটি স্কুল জীবনের চেয়ে আলাদা?
আমরা শুরুতেই একটা কঠিন সত্যের মুখোমুখি হই। কেন টপ স্টুডেন্টরা এইচএসসিতে খারাপ করে? এর কারণ মেধার অভাব নয়, এর কারণ স্ট্র্যাটেজির অভাব এবং “কালচারাল শক” বা পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নিতে না পারা। এসএসসির রেজাল্ট নিয়ে আত্মতুষ্টিতে ভোগা এবং এইচএসসির গভীরতা বুঝতে না পারাই হলো প্রথম ভুল।
সিলেবাসের বিশালতা: সাগরের মাঝখানে একা
এসএসসিতে তুমি যখন বইয়ের পাতা উল্টাতে, তখন মনে হতো সিলেবাসটা হাতের মুঠোয়। ফিজিক্স বইটা ছিল মাত্র ২০০-৩০০ পেজের। কিন্তু এইচএসসিতে এসে তুমি দেখবে ফার্স্ট পেপার আর সেকেন্ড পেপার মিলিয়ে সেই ভলিউম বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১০০০-১২০০ পেজ। তাও সেটা মাত্র একটি বিষয়ের জন্য! কেমিস্ট্রি, ম্যাথ, বায়োলজি—প্রতিটি ক্ষেত্রেই এই বিশালতার ধাক্কা তোমাকে খেতে হবে।
সবচেয়ে ভয়ের ব্যাপার হলো সময়। এসএসসিতে তুমি প্রায় ২-২.৫ বছর সময় পেয়েছিলে ওই ছোট বইগুলো শেষ করার জন্য। আর এইচএসসিতে সিলেবাস ৫ গুণ বড়, কিন্তু সময় মাত্র ১৮ মাস (ছুটি এবং পরীক্ষা বাদ দিলে পড়ার সময় আরও কম)।
একটি বাস্তব তুলনা:
- এসএসসি ফিজিক্স: ‘গতি’ অধ্যায়ে ৩-৪টি সূত্র ছিল। $v = u + at$, $s = ut + \frac{1}{2}at^2$… ব্যাস, মান বসালেই উত্তর চলে আসত।
- এইচএসসি ফিজিক্স: ‘নিউটনীয় বলবিদ্যা’ বা ‘ভেক্টর’ অধ্যায়ে তুমি এমন সব টপিক পাবে—রকেটের গতি, রাস্তার ব্যাংকিং, কৌণিক ভরবেগ, জড়তার ভ্রামক, স্থিতিস্থাপক ও অস্থিতিস্থাপক সংঘর্ষ, টর্ক—যা বুঝতে গভীর মনোযোগ প্রয়োজন। এখানে একটি অধ্যায়ের গভীরতা এসএসসির পুরো বইয়ের সমান হতে পারে।
এই বিশাল সিলেবাস শেষ করাটা একটা আর্ট বা শিল্প। যারা শুরু থেকে এই আর্ট রপ্ত করতে পারে না, তারা টেস্ট পরীক্ষার আগে গিয়ে চোখে সর্ষে ফুল দেখে। তখন মনে হয়, “ইশ! যদি কলেজ শুরুর প্রথম দিন থেকে সিরিয়াস হতাম!”
কনসেপ্টের গভীরতা: মুখস্থ বিদ্যার দিন শেষ
স্কুলে অনেক কিছু মুখস্থ করে পার পাওয়া যেত। সৃজনশীল প্রশ্নের ‘গ’ এবং ‘ঘ’ নম্বর অনেক সময় মুখস্থ বিদ্যা বা গাইড বইয়ের কমন প্রশ্ন দিয়ে চালিয়ে দেওয়া যেত। কিন্তু কলেজে এই স্ট্র্যাটেজি ১০০% অকার্যকর।
এখানে ফিজিক্সের ম্যাথ বা অর্গানিক কেমিস্ট্রির বিক্রিয়া মুখস্থ করে তুমি এক পা-ও এগোতে পারবে না। কারণ, প্রশ্নগুলো হয় “কনসেপ্ট লিংকিং” বা একাধিক অধ্যায়ের সমন্বয়ে।
- ম্যাথ ও ফিজিক্সের সম্পর্ক: তুমি যদি ক্যালকুলাস (অন্তরীকরণ ও যোগজীকরণ) না বোঝো, তবে ফিজিক্সের বেগ, ত্বরণ বা কাজ কিছুই বুঝবে না। এসএসসিতে ঢাল বা স্লোপ নিয়ে খুব একটা ভাবতে হতো না, কিন্তু এইচএসসিতে গ্রাফ এবং স্লোপ কনসেপ্ট না থাকলে তুমি অন্ধের মতো হাতড়াবে।
- কেমিস্ট্রির গোলকধাঁধা: জৈব যৌগের (Organic Chemistry) হাজার হাজার বিক্রিয়া মনে রাখা মানুষের পক্ষে সম্ভব না, যদি না তুমি মেকানিজম বোঝো। ইলেকট্রন কোন দিক থেকে অ্যাটাক করছে, কেন করছে, কার্বোক্যাটায়ন কী—এগুলো না বুঝলে তুমি বিক্রিয়া মেলাতে পারবে না। এসএসসিতে যোজনী মুখস্থ করলেই চলত, এখানে তোমাকে হাইব্রিডাইজেশন, মলিকুলার অরবিটাল থিওরি বুঝতে হবে।
- এডমিশন টেস্টের চ্যালেঞ্জ: বুয়েট বা মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় বইয়ের খুঁটিনাটি বেসিক থেকেই প্রশ্ন আসে, যা মুখস্থ করে উত্তর করা অসম্ভব। সেখানে প্রশ্ন এমনভাবে করা হয় যা তোমার চিন্তাশক্তি যাচাই করবে, স্মৃতিশক্তি নয়।
সময়ের সঠিক ব্যবহার ও “টাইম ট্র্যাপ”
কলেজ লাইফকে বলা হয় “হনিমুন পিরিয়ড”। নতুন কলেজ, নতুন বন্ধু, ইউনিফর্মের কড়াকড়ি নেই (অনেক ক্ষেত্রে), স্মার্টফোনের স্বাধীনতা—সব মিলিয়ে প্রথম ৩-৪ মাস স্বপ্নের মতো কাটে। আর ঠিক এই জায়গাতেই শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বড় ভুলটা করে।
কলেজের রুটিনটা একবার ভাবো:
- সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ক্লাস।
- এরপর প্র্যাকটিক্যাল ল্যাব, ল্যাব রিপোর্ট লেখা।
- অ্যাসাইনমেন্ট, সিটি পরীক্ষা, ক্লাবের দায়িত্ব।
- বন্ধুদের আড্ডা।
এর মাঝে নিজের পড়ার সময় বের করাটাই কঠিন। তার ওপর যদি তুমি অফলাইন কোচিং বা প্রাইভেটের ওপর নির্ভর করো, তবে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়। ঢাকার মতো শহরে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যেতে ১-১.৫ ঘণ্টা লাগে। অর্থাৎ, একটি ১ ঘণ্টার প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার জন্য তোমার যাতায়াতে নষ্ট হচ্ছে ২-৩ ঘণ্টা।
হিসাবটা সহজ: প্রতিদিন যদি যাতায়াতে ৩ ঘণ্টা নষ্ট হয়, তবে মাসে ৯০ ঘণ্টা বা প্রায় ৪ দিন তুমি শুধু রাস্তাতেই কাটাচ্ছ! বছরে প্রায় ৪৮ দিন বা দেড় মাস তুমি জ্যামে বসে থাকছ। এই সময়টা পড়ার এনার্জি শুষে নেয়। কোচিং থেকে ফিরে ক্লান্ত শরীরে পড়ার টেবিলে বসা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। ফলে সৃষ্টি হয় বিশাল “ব্যাকলগ” বা পড়া জমে যাওয়ার পাহাড়।
এই “টাইম ট্র্যাপ” থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় হলো স্মার্ট লার্নিং বা অনলাইন এডুকেশন। যেখানে তুমি জ্যামে বসে থাকার সময়টা কাজে লাগাতে পারবে নিজের স্কিল ডেভেলপমেন্ট বা বিশ্রামে, আর পড়াশোনা হবে তোমার সুবিধামতো সময়ে।
টেন মিনিট স্কুল HSC 27 অনলাইন ব্যাচ – একটি পূর্ণাঙ্গ ইকোসিস্টেম
আমি অনেকগুলো প্ল্যাটফর্ম দেখেছি, কিন্তু টেন মিনিট স্কুলের এই কোর্সটি গতানুগতিক কোনো ভিডিও কোর্স নয়। এটি একটি কমপ্লিট একাডেমিক ইকোসিস্টেম। এখানে টেকনোলজি, কন্টেন্ট এবং হিউম্যান মেন্টরশিপের এক অপূর্ব সমন্বয় ঘটেছে।
কেন “ইকোসিস্টেম” বলছি? কারণ, একটি ইকোসিস্টেমে বেঁচে থাকার জন্য সব উপাদান একে অপরের ওপর নির্ভরশীল এবং স্বয়ংসম্পূর্ণ থাকে। এখানেও ঠিক তাই। তোমার এইচএসসি লাইফে যা যা দরকার—ক্লাস, নোট, গাইড বই, প্রাইভেট টিউটর, এক্সাম হল, এবং মেন্টরশিপ—সবকিছু এই এক ছাতার নিচে নিয়ে আসা হয়েছে। তোমাকে ফিজিক্সের জন্য এক স্যারের কাছে, আর ম্যাথের জন্য আরেক কোচিংয়ে দৌড়াতে হবে না। এই “One Stop Solution” কনসেপ্টটাই একে অন্যদের চেয়ে আলাদা করেছে।
কোর্সটি আসলে কাদের জন্য ডিজাইন করা?
এই প্রিমিয়াম ইকোসিস্টেমটি তাদের জন্য, যারা নিজেদের নিয়ে উচ্চাকাঙ্ক্ষী:
বোর্ড টপার: গোল্ডেন এ-প্লাস নিশ্চিত
শুধু পাস নয়, যারা বোর্ডে প্লেস করতে চায়। এখানে প্রতিটি খুঁটিনাটি বেসিক থেকে এডভান্সড প্রস্তুতি নিশ্চিত করা হয়।
বুয়েট/মেডিকেল: চান্স পাওয়ার চ্যালেঞ্জ
যারা কলেজ লাইফের প্রথম দিন থেকেই ভার্সিটি এডমিশনের ফাউন্ডেশন তৈরি করতে চায়। এখানকার ক্লাসগুলো তোমাকে এডমিশনের জন্য রেডি করবে।
লোকাল স্টুডেন্ট: সেরা গাইডলাইন
যারা মফস্বলে বসেও ঢাকার সেরা কলেজগুলোর শিক্ষার্থীদের মতো সমান সুযোগ-সুবিধা ও এক্সপার্ট গাইডলাইন পেতে চায়।
স্মার্ট লার্নার: টাকা ও সময় সেভ
যারা অফলাইন কোচিংয়ের যাতায়াত এবং লক্ষ টাকা খরচ না করে, নামমাত্র মূল্যে সর্বোচ্চ কোয়ালিটি নিশ্চিত করতে চায়।
এই ইকোসিস্টেমের ৭টি স্তম্ভ
এই কোর্সের প্রতিটি ফিচার একেকটি স্তম্ভের মতো কাজ করে তোমার প্রস্তুতিকে মজবুত করে তোলে।
১৬ মাসের মাস্টারপ্ল্যান। বিশাল সিলেবাসকে ছোট ছোট লক্ষে ভাগ করে ধারাবাহিকতা বজায় রাখা হয়।
সপ্তাহে ১২টি লাইভ ক্লাস। স্মার্টবোর্ডে এনিমেশন সহকারে কঠিন কনসেপ্ট সহজভাবে বোঝানো হয়।
৫+ রাইটারের নির্যাস নিয়ে তৈরি এক্সক্লুসিভ গাইডবুক। এটি তোমার টেবিলে পৌঁছানো হবে।
HSC 26 ব্যাচের সব ক্লাস ফ্রি। কলেজের সিলেবাস না মিললেও তুমি এগিয়ে থাকতে পারবে। (তোমার পার্সোনাল টাইম মেশিন!)
রাত ৩টায় পড়তে বসে আটকে গেলে AI তাৎক্ষণিক সমাধান দেবে। তোমার পড়ার গতি নষ্ট হবে না।
জুম/মিট সেশনে টিচারদের সাথে সরাসরি কথা বলার সুযোগ। পড়া বা মানসিক সমস্যা নিয়ে মেন্টরশিপ।
ডেইলি ও উইকলি এক্সাম দিয়ে নিজেকে যাচাই করো এবং লিডারবোর্ডে নিজের অবস্থান নিশ্চিত করো।
সাইকেল সিস্টেম – ১৬ মাসে সিলেবাস জয়ের ব্লু-প্রিন্ট
এইচএসসির বিশাল সিলেবাস দেখে যেকোনো সাধারণ শিক্ষার্থীর হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। তাই টেন মিনিট স্কুল পুরো সিলেবাসকে ৪টি ছোট সাইকেলে ভাগ করেছে। একে বলা হয় “Divide and Conquer” বা “ভাগ করো এবং শাসন করো” মেথড। এই পদ্ধতিতে তুমি পুরো পাহাড়ের দিকে না তাকিয়ে শুধু তোমার সামনে থাকা ছোট টিলাটি পার করবে, এবং অজান্তেই দেখবে তুমি পাহাড়ের চূড়ায় পৌঁছে গেছ।
কলেজ শুরুর আগেই বেসিক স্ট্রং করে এগিয়ে থাকার সেরা সময়।
কলেজের পরীক্ষার সিলেবাসের সাথে তাল মিলিয়ে প্রস্তুতি।
এডমিশন টেস্টের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও কঠিন অধ্যায়গুলো সহজ করা।
এইচএসসির জন্য ১০০% প্রস্তুত হওয়া।
বিষয়ভিত্তিক মাইক্রো-এনালাইসিস – গভীরে চলো
বিজ্ঞান বিভাগের প্রতিটি বিষয়ের নিজস্ব চ্যালেঞ্জ বা “পেইন পয়েন্ট” আছে। টেন মিনিট স্কুল কীভাবে প্রতিটি সাবজেক্টের এই স্পেসিফিক সমস্যাগুলো টেকনোলজি এবং এক্সপার্ট মেন্টরশিপ দিয়ে সমাধান করছে, তা চলো গভীরে গিয়ে দেখি।
পদার্থবিজ্ঞান (Physics) – ভিজুয়ালাইজেশনের খেলা
এইচএসসি ফিজিক্সের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো “কল্পনা করতে না পারা”।
- সমস্যা: বইয়ে লেখা আছে “প্রাসের গতি”, কিন্তু তুমি বুঝতে পারছ না বলটি কীভাবে বাতাসে ভাসছে।
- সমাধান (10MS Way): এই কোর্সে ফিজিক্স পড়ানো হয় স্মার্টবোর্ডে এনিমেশন ব্যবহার করে। যখন ভেক্টর পড়ানো হবে, তুমি স্ক্রিনে দেখবে নৌকা স্রোতের প্রতিকূলে কীভাবে এগোচ্ছে। “কাজ, শক্তি ও ক্ষমতা” অধ্যায়ে রোলার কোস্টারের সিমুলেশন দেখিয়ে এনার্জির পরিবর্তন বোঝানো হবে। একবার চোখে দেখলে সেই কনসেপ্ট আর ভুলবে না।
রসায়ন (Chemistry) – বিক্রিয়া আর ভয় নেই
রসায়ন অনেকের কাছেই দুঃস্বপ্ন, বিশেষ করে সেকেন্ড পেপারের জৈব রসায়ন।
- সমস্যা: হাজার হাজার বিক্রিয়া মনে রাখা মানুষের পক্ষে সম্ভব না। অধিকাংশ স্টুডেন্ট পরীক্ষার হলে গিয়ে ভুলে যায়—অ্যালকোহল জারণ করলে অ্যালডিহাইড হয় নাকি অ্যাসিড হয়?
- সমাধান (10MS Way): ভাইয়ারা বিক্রিয়ার মেকানিজম (Mechanism) বা কৌশল শেখান। ইলেকট্রন কোন দিক থেকে অ্যাটাক করছে—এগুলো জানলে তুমি নিজেই বিক্রিয়া তৈরি করতে পারবে। তোমাকে আর তোতা পাখির মতো মুখস্থ করতে হবে না।
গণিত (Higher Math) – ক্যালকুলাস এখন জলভাত
সায়েন্সের স্টুডেন্টদের প্রধান ভীতি হলো ক্যালকুলাস।
- সমস্যা: $\frac{dy}{dx}$ বা $\int$ চিহ্ন দেখলেই অধিকাংশ স্টুডেন্টের জ্বর আসে।
- সমাধান (10MS Way): ভাইয়ারা রিয়েল লাইফ উদাহরণ দিয়ে বোঝাবেন কেন ক্যালকুলাস দরকার। একটি বক্ররেখার ঢাল (Slope) বের করা বা একটি আঁকাবাঁকা ক্ষেত্রের ক্ষেত্রফল নির্ণয়ের কনসেপ্ট একদম পরিষ্কার হয়ে যাবে।
- ক্যালকুলেটর হ্যাকস: এমসিকিউ পরীক্ষায় প্রতিটি প্রশ্নের জন্য সময় মাত্র ৪০-৫০ সেকেন্ড। এই কোর্সে শেখানো হবে কীভাবে ক্যালকুলেটর ব্যবহার করে ৫ সেকেন্ডে জটিল ম্যাথ সলভ করা যায়।
জীববিজ্ঞান (Biology) – তথ্যের মহাসাগর পাড়ি দেওয়া
বায়োলজি মানেই কি শুধুই মুখস্থ? একদম না।
- সমস্যা: হাজার হাজার বৈজ্ঞানিক নাম এবং জটিল প্রক্রিয়া মনে রাখা।
- সমাধান (10MS Way): মানবদেহের রক্ত সঞ্চালন, শ্বসনতন্ত্র বা ডিএনএ-র গঠন—সবকিছু থ্রিডি মডেলে (3D Model) দেখানো হবে। হৃদপিণ্ডের ভালভগুলো কীভাবে খুলছে ও বন্ধ হচ্ছে, তা চোখের সামনে মুভি স্টাইলে দেখলে আর ভুলবে না।
কারা পড়াচ্ছেন এই কোর্স?
তাহমিদুল ইয়াসিন আবিদ
বুয়েট ৫+ বছরের অভিজ্ঞতা
সুমাইয়া আক্তার মিম
ডিএমসি ২+ বছরের অভিজ্ঞতা
মোঃ কামরুল হাসান শোভন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১০+ বছরের অভিজ্ঞতা
আদিত্য আল-রাজী
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৪+ বছরের অভিজ্ঞতা
সাব্বির আহমেদ রিফাত
রুয়েট ৫+ বছরের অভিজ্ঞতা
খন্দকার তৌহিদ ইমাম
এইউএসটি ৫+ বছরের অভিজ্ঞতা
আমান ইসলাম সিয়াম
বুয়েট ৪+ বছরের অভিজ্ঞতা
মেহদী মোহাম্মদ
সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল ৪+ বছরের অভিজ্ঞতা
শামীমা জাহিদ প্রীতি
সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল ৪+ বছরের অভিজ্ঞতা
ফারদিন ইহসান
ঢাকা কলেজ ৬+ বছরের অভিজ্ঞতাএক্সক্লুসিভ মাস্টার বুক (Master Book) – তোমার গোপন হাতিয়ার
কলেজ লাইফ শুরু হওয়ার সাথে সাথেই একজন শিক্ষার্থীর মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে যখন সে বইয়ের তালিকা দেখে। একেকটি বিষয়ের জন্য বাজারে ৫-১০ জন বিখ্যাত রাইটারের বই! একজন স্টুডেন্টের পক্ষে কি ১০-১২ হাজার টাকা খরচ করে সব রাইটারের বই কেনা সম্ভব? একদমই না।
ঠিক এই কঠিন সমস্যাটির সমাধান হিসেবে টেন মিনিট স্কুল নিয়ে এসেছে “Master Book”। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, এই কোর্সের সবচেয়ে বড় “ভ্যালু ফর মানি” বা সেরা ফিচার হলো এই হার্ডকপি বইগুলো।
কেন এটি অনন্য?
- All-in-One: ৫-৬ জন জনপ্রিয় রাইটারের বই এনালাইসিস করে সব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, সব ধরনের ম্যাথ এবং থিওরি এক বইতে আনা হয়েছে। অর্থাৎ, তোমার কাছে মাস্টার বুক থাকা মানে তোমার টেবিলে সব রাইটারের সেরা নির্যাস থাকা।
- হ্যাকস ও শর্টকাট: বইয়ের চিপায়-চাপায় এমন সব শর্টকাট টেকনিক দেওয়া আছে যা তোমাকে এমসিকিউ-তে সুপারফাস্ট করে তুলবে।
- বোর্ড প্রশ্ন এনালাইসিস: বিগত বছরের বোর্ড প্রশ্ন এবং সেরা কলেজগুলোর (যেমন: নটর ডেম, ভিকারুননিসা) টেস্ট পরীক্ষার প্রশ্ন ব্যাখ্যাসহ সমাধান করা আছে।
- এডমিশন কর্নার: এইচএসসি পড়ার সময়ই এডমিশনের প্রস্তুতি নেওয়াটা বুদ্ধিমানের কাজ। মাস্টার বুকে প্রতিটি টপিকের পাশে মার্ক করা আছে— “Board Standard” নাকি “Admission Standard”।
ফ্রি হোম ডেলিভারি: তুমি যদি PCMB Bundle (Cycle 1-4) কোর্সটি কিনো, তবে ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি, ম্যাথ এবং বায়োলজির মাস্টার বুক (হার্ডকপি) সম্পূর্ণ ফ্রি ডেলিভারিতে তোমার বাসায় পৌঁছে যাবে। শুধু এই বইগুলোর বাজারমূল্যই প্রায় কয়েক হাজার টাকা। তাই আলাদা আলাদা সাইকেল না কিনে, বান্ডেল অফারটি নেওয়াটাই সবচেয়ে লাভজনক সিদ্ধান্ত।
অন্যান্য প্ল্যাটফর্ম বা অফলাইন কোচিং তোমাকে শুধু “ক্লাস” দিচ্ছে। কিন্তু টেন মিনিট স্কুল তোমাকে দিচ্ছে একটি “পূর্ণাঙ্গ ইকোসিস্টেম”। যেখানে বই, ক্লাস, মেন্টরশিপ, এবং কাটিং-এজ টেকনোলজি একসাথে কাজ করে তোমার A+ এবং এডমিশন সাফল্য নিশ্চিত করতে।
ভুল সিদ্ধান্তের খেসারত – এখন শুরু না করলে কী হারাবে?
তুমি হয়তো ভাবছ, “বন্ধুরা সবাই অফলাইনে ভর্তি হচ্ছে, আমিও সেখানেই যাই।” শুনতে খুব স্বাভাবিক মনে হলেও, এইচএসসির মতো প্রতিযোগিতামূলক সময়ে এই একটি ভুল সিদ্ধান্ত বা সিদ্ধান্তহীনতা তোমার ক্যারিয়ারে বড় বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
১. অর্থনৈতিক ক্ষতি (লক্ষ টাকার অপচয়): ঢাকার বা মফস্বলের ভালো কোনো অফলাইন কোচিংয়ে ৪টি বিষয় পড়তে গেলে ২ বছরে খরচ হয় প্রায় ২ লক্ষ থেকে ২.৫ লক্ষ টাকা। অথচ এখানে তুমি বান্ডেল অফারে মাত্র ২৬০০০ টাকায় (রেগুলার প্রাইস) পুরো কোর্স পাচ্ছ। তুমি যদি এই কোর্সটি কেনো, তুমি তোমার বাবার প্রায় ২ লক্ষ টাকা সাশ্রয় করছ। এই টাকা দিয়ে তুমি ভবিষ্যতে একটি ভালো ল্যাপটপ কিনতে পারবে।
২. সময়ের অপচয় (৭৩০ ঘণ্টার ট্র্যাজেডি): কোচিংয়ে যাওয়া-আসা মিলিয়ে প্রতিদিন গড়ে ২ ঘণ্টা নষ্ট হয়। বছরে ৭৩০ ঘণ্টা নষ্ট! এই ৭৩০ ঘণ্টা মানে প্রায় ৩০টি পূর্ণ দিবস তুমি শুধু রাস্তায় ধুলোবালি খেয়ে কাটিয়েছ। অনলাইনে পড়ার ফলে এই সময়টা তোমার পকেটে। এই সময়ে তুমি মাস্টার বুক সলভ করতে পারতে, যা তোমাকে বুয়েট-মেডিকেলে টপ করতে সাহায্য করবে।
৩. ব্যাকলগ বা পড়ার পাহাড়: অফলাইনে একদিন ক্লাস মিস করলে সেই লেকচার আর ফিরে পাওয়া যায় না। এভাবে ছোট ছোট গ্যাপ জমে পাহাড় সমান “ব্যাকলগ” তৈরি হয়। কিন্তু এখানে সব রেকর্ডেড থাকছে। তুমি শুক্রবার ছুটির দিনে বা রাতের বেলা সেই ব্যাকলগ কভার করে ফেলতে পারবে।
৪. কনফিডেন্স ক্রাইসিস: পরীক্ষার হলে যখন দেখবে প্রশ্ন এসেছে এমন টপিক থেকে যা তোমার অফলাইন কোচিংয়ে এখনো পড়ায়নি, কিন্তু তোমার পাশের বন্ধু (যে 10MS-এ সাইকেল ১ আগেই শেষ করেছে) অনর্গল লিখে যাচ্ছে—তখন তোমার কনফিডেন্স ধসে পড়বে।
তুমি কি সত্যিই এই ঝুঁকিগুলো নিতে চাও? নাকি একটু স্মার্ট হয়ে, প্রযুক্তির সুবিধা নিয়ে, নিজের টাকা ও সময় বাঁচিয়ে নিজেকে নিরাপদ জোনে রাখতে চাও?
একজন স্মার্ট HSC ’27 স্টুডেন্টের রুটিন
সফলতা এবং ব্যর্থতার মধ্যে মূল পার্থক্যটা মেধার নয়, বরং রুটিন বা টাইম ম্যানেজমেন্টের।
একজন সাধারণ স্টুডেন্ট, যে অফলাইন কোচিং করে, তার দিন কাটে দৌড়াদৌড়ি আর জ্যামে বসে থেকে। অন্যদিকে, টেন মিনিট স্কুলের স্টুডেন্টরা টেকনোলজি ব্যবহার করে নিজের ঘরে বসেই স্মার্টলি প্রস্তুতি নেয়। চলো, একটি তুলনামূলক রুটিন দেখি: